Calcutta High Court: হকের দাবি চাইতেই পারে, অস্থায়ী মনরেগা কর্মীদের বিক্ষোভে অনুমতি বিচারপতি মান্থার

আন্দোলনকারীরা ক্ষেত মজুর সমিতির সদস্য। তাঁদের অভিযোগ ১৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। স্থায়ী কর্মীদের সমান কাজ করা সত্বেও তাঁরা বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন।

অস্থায়ী মনরেগা কর্মীদের আন্দোলনে অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না মনরেগার অস্থায়ী কর্মীরা। তাই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তাঁরা ধর্মতলা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চেয়েছিলেন। প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্ট তাঁদের শর্তসাপেক্ষে শহিদ মিনারে বসার অনুমতি দিয়েছে।

আন্দোলনকারীরা ক্ষেত মজুর সমিতির সদস্য। তাঁদের অভিযোগ ১৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। স্থায়ী কর্মীদের সমান কাজ করা সত্বেও তাঁরা বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ স্থায়ী চাকরি নিয়েও উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা প্রথমে কলকাতা পুরসভার পাশে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় ক্ষেত মজুর সমিতি আদালতের দ্বারস্থ হন।

(পড়তে পারেন। খেজুরিতে ৬১ জন BJP কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের)

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন শর্তাসাপেক্ষে আন্দোলন করতে পারবেন তারা। কী সেই শর্ত? আগামী ১২ দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারবেন। রাতে শুধুমাত্র ১৫ জন বিক্ষোভে অংশ নিতে পারবেন।

বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, কেউ যদি নিজেকে বঞ্চিত মনে করেন তবে তাঁর আন্দোলন করার অধিকার আছে। কোনও অসুবিধা করা যাবে না। আদালত ও পুলিশের দেওয়া শর্ত মেনে অবস্থানে বসতে হবে। অবস্থানস্থলে রান্না করা যাবে না। জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শান্তি বজায় রাখতে হবে। তবে আদালত অনুমতি দিলেও শহিদ মিনারের পাশে পাদদেশে বসতে সেনা বাহিনীর  অনুমতি লাগবে।