ছিল ৭৭। চার মাসের ব্যবধানে সেটাই কমে দাঁড়াল ৭১-এ। এবার বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। সঙ্গে জল্পনা উস্কে তিনি বলেন, ‘আরও কিছু ঘটবে।’
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সৌমেন। বিজেপির টিকিটে কালিয়াগঞ্জ থেকে জেতেনও। কিন্তু নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ‘মোহভঙ্গ’ পর্ব শুরু হয়। গত জুনে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সৌমেনের তৃণমূল-যোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও সেই সময় সৌমেন দাবি করেছিলেন, ভুলবশত গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাতে অবশ্য জল্পনায় ইতি পড়েনি। সেই জল্পনা যে বাস্তব ছিল, তার প্রমাণ শনিবার মিলল।
শনিবার তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেন সৌমেন। তারপর বলেন, ‘আমার মন, হৃদয় তৃণমূলেই ছিল। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপি সংস্কৃতি মেলে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে বাংলার ঘরের ঘরে উন্নয়ন চলছে, তাতে সামিল হতেই তৃণমূলে ফিরে এসেছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘মাঝে যে সময়টটুকু ছিলাম না, সেটা আমার ভুল। আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি কখনও বিজেপি করিনি।’
এমনিতেই বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরার জন্য লম্বা লাইন পড়েছে। সর্বপ্রথম তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। তারপর আসেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। এবার ‘ঘর ওয়াপসি’ হল সৌমেনের। আগেই দিনহাটা এবং শান্তিপুর আসন ছেড়ে দিয়েছেন যথাক্রমে নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। তার ফলে আপাতত বাংলায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৭১।