করোনা সংক্রমণের পর থেকেই নিজেদের কাণ্ডজ্ঞানের করুণ দশার পরিচয় দিয়েছেন বহু মানুষ। সরকার ও চিকিৎসকরা বারবার মাস্ক পরতে বললেও তাতে কর্ণপাত করছেন না অনেকেই। উলটো দিকে করোনার বিরুদ্ধে যাঁরা মাঠে ময়দানে লড়ছেন তাদেরকেই করোনার বাহক বলে তাড়া করছেন। ফের এমন এক ঘটনা ঘটল কলকাতা ঘেঁষা ঠাকুরপুকুরে। সেখানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসককে তাঁর বাসভবন থেকে উৎখাতে সামিল হলেন স্থানীয় মানুষজন।
আক্রান্ত স্বরাজদ্বীপ বণিক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্নাতকোত্তরের প্রশিক্ষরণরত পড়ুয়া। কোচবিহারের ছেলে স্বরাজদ্বীপ ঠাকুরপুকুরে পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশুনো করেন। করোনা আবহেও নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা করেছেন তিনি। এরই মাঝে তাঁর পিসি ও ঠাকুমা করোনা সংক্রমিত হন। শনিবার সেখবর এলাকায় ছড়াতেই বিক্ষোভ শুরু হয়।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে এদিন ২ ব্যক্তি আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে এলে একপ্রস্ত বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তার পর স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা এলাকা জীবাণুমুক্ত করতে এলে আরেক দফা বিক্ষোভ হয়। চিকিৎসক স্বরাজদ্বীপ বণিককে ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়ে তাঁর পিশেমশাইকে নানা কটূক্তি করেন এলাকাবাসী।
ঘটনার কথা ঠাকুরপুকুর থানায় মৌখিক ভাবে জানানো হলেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।