এবারের পুরভোটে প্রত্যাশামতো প্রার্থী হতে না পেরে নিজেদের নির্দল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের তিন নেতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনিয়েছিলেন ৭২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়ানো নির্দল প্রার্থী রতন মালাকার। তবে সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন সচ্চিদানন্দ। অন্যদিকে, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে এবারের পুরভোটে লড়ছেন তনিমা। যেহেতু এবারের পুরভোটে তারা নির্দল হয়ে লড়ছেন ফলে তাদের প্রতীকও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই দুজনের প্রতীক হল জোড়াপাতা। তাঁদের ইতিমধ্যে বহিষ্কারও করেছে তৃণমূল।
প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মৃত্যুর পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে তার বোন তনিযমা চট্টোপাধ্যায়কে এবারের পুরভোটে প্রার্থী করা হতে পারে। কিন্তু দলের প্রার্থী ঘোষণার পরেই সেই জল্পনার অবসান ঘটে। দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন তনিমা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার দাদা চেয়েছিলেন আমি প্রার্থী হই। তাই আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমার লড়াই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নয়, আমার লড়াই দলের বিরুদ্ধে। '
একইভাবে দলের মেনে নিতে পারেননি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সচিদানন্দ।মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তে খুশি না হওয়ায় তিনি শেষপর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফলে তিনিও নির্দল প্রার্থী হিসেবে এবারের পুরসভা ভোটে তিনি লড়ছেন। তাঁকেও জোড়াপাতা প্রতীক দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সচ্চিদানন্দ। বহুদিন থেকেই যে দলের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি। তার অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে তাঁকে দলের কোনও সভায় ডাকা হচ্ছে না। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৃণমূলের হয়ে বেশ কয়েকবার প্রচার করতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যেকবারই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ' আমি যে চায়ের দোকানে চা খেতাম সেই দোকানটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, ' আমি মানুষের দাবি মেনে ভোটে দাঁড়িয়েছি। তাই পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্ন নেই।'