গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তির থেকে এক আধিকারিকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল লালবাজার। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবার ‘আইসোলেশন লকআপ’ তৈরির চিন্তা ভাবনা করছেন আধিকারিকরা। গ্রেফতার হওয়া কোনও ব্যক্তির করোনার উপসর্গ থাকলে তাঁকে রাখা হবে ওই লকআপে।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত ১৮ জুলাই প্রতারণায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের প্রতারণা দমন শাখা। ১৯ জুলাই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এর পর ওই ব্যক্তির ঠাঁই হয় লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপ। ২২ জুলাই ওই ব্যক্তির জ্বর আসে। এর পর করোনা পরীক্ষা করলে দেখা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। এতে ঘুম ছুটেছে লালবাজারের কর্তাদের।
সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যে পুলিশ আধিকারিকরা এসেছিলেন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ১ জনের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ। এই প্রথম কোনও অভিযুক্তের থেকে পুলিশকর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল পশ্চিমবঙ্গে।
ইতিমধ্যে লালবাজারের প্রায় ৩৫ জন পুলিশকর্মী ও আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। বাহিনীকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,০০০ পার করেছে।
তবে অভিযুক্তের থেকে পুলিশকর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর নড়েচড়ে বসেছেন লালবাজারের কর্তারা। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘লালবাজারে আমরা আইসোলেশন লকআপ তৈরির ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করছি। তাতে গ্রেফতার হওয়া কোনও অভিযুক্তের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে। এতে অন্যান্য গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমবে।’
লালবাজার সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত অভিযুক্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন আরও অন্তত ১২ জন পুলিশকর্মীর করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। তবে রিপোর্ট আসেনি। করোনা পরীক্ষা করানোর কথা ভাবা হচ্ছে ওই সময় লক আপে থাকা অন্য গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদেরও।