শুরুতেই হোঁচট খেল সিবিআই। নারদ মামলার বিচারপর্বে আজ বুধবার শুনানির শুরুতেই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রশ্ন করলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতাকে, এই মামলায় যখন নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছিল, তাহলে করোনাকালে এই চারজনকে জেলে রাখার প্রয়োজনীয়তা কী? তাঁরা কি কোনও অসহযোগিতা করেছিল? তখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজাম প্যালেসে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার কথা বলার চেষ্টা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। যাতে বিরক্ত হন বিচারপতি।
এদিকে অভিযুক্তদের হয়ে সওয়ালে অংশ নিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি দুঁদে আইনজীবী। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির স্পষ্ট যুক্তি, নিজাম প্যালেসে শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে বলে যে তথ্য পেশ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। কারণ সেদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ অন্যান্য বিধায়করা নিজাম প্যালেসে গিয়েছিলেন সহানুভূতি জানাতে। এভাবেই এই মুহূর্তে শুরু হয়েছে কড়া সওয়াল–জবাব।
অন্যদিকে মামলার শুনানির শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্ট বলে দেয়, প্রথমে অভিযুক্তদের কথা শোনা হবে। শুনানির শুরু হলে অভিযুক্তদের হয়ে আইনজীবী অভিজিৎ মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘৭৫ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। এটি সম্পূর্ণ হতচকিত ঘটনা, চার্জশিট দেওয়ার পরেও কেন তাঁর কৌসুলীদের জেলবন্দি করা হল! হাইকোর্টেও অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছে সিবিআই। সে দিন নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী–সহ অন্যান্যরা এসেছিলেন সংহতি জানাতে, কিন্তু এই বিষয়টিকে ভুল ব্যাখ্যা করেছে সিবিআই। এমনকী সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে সিবিআই।’
তুষার মেহতাকে এই বিষয়ে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদের জেলে পাঠানো কি ঠিক? সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘অভিযুক্তদের কেন পেশ করা গেল না বুঝুন। তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। বিচারপর্ব চালানো যেত না।’ সিবিআই চাইছে এই মামলাটি ভিনরাজ্যে নিয়ে যেতে। তাই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে। এই চার হেভিওয়েট এবং তার পরিবার বারবার সমর্থকদের বার্তা দিচ্ছে, কোনওভাবেই আদালত চত্বরে ভিড় না করতে। অভিযুক্তদের আইনজীবী প্রশ্ন করছে, জেলে পাঠানোর প্রাসঙ্গিকতা কোথায়?