করোনার ত্রাণ দিয়ে ছবি তুলেছেন তাঁদের ভর্ৎসনা করলেন কলকাতার মেয়র তথা পশ্চিমবঙ্গের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার কলকাতার কনটেনমেন্ট জোনগুলির কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মেয়র। সেই বৈঠক শেষেই ত্রাণ বিলির ছবি তোলার প্রবণতাকে ‘ক্ষতিকারক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার উত্তর কলকাতার করোনাপ্রবণ এলাকাগুলির কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ফিরহাদ। সেখানে ওই সব এলাকায় করোনা ছড়ানোর জন্য ‘ফাঁকিবাজ’ কাউন্সিলরদের রীতিমতো ধমকান তিনি। বৈঠকে ছিলেন জোড়াসাঁকো, বেলেঘাটা, এন্টালি, বেনিয়াপুকুর, পার্ক সার্কাস এলাকার কাউন্সিলররা। দক্ষিণের বালিগঞ্জ, তপসিয়া, গার্ডেনরিচ এলাকার কাউন্সিলররাও ছিলেন বৈঠকে। সেখানেই করোনা ছড়ানোর জন্য লকডাউনে শিথিলতাকে দায়ী করেছেন তিনি।
কলকাতার মেয়র বলেন, ‘বহু জায়গায় ত্রাণ বিলির জন্য সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি মানা হচ্ছে না। লোকদেখানো ত্রাণ বিলির ছবি তোলার জন্য তৃণমূল কাউন্সিলর ও নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রচুর লোক জড়ো করে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, কত ত্রাণ দিয়েছেন তিনি। এতেই সংক্রমণ আরও ছড়াচ্ছে।‘ এই প্রবণতাকে অমানবিক বলে উল্লেখ করেন ফিরহাদ।
দলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মেয়রের পরামর্শ, ‘ত্রাণ দিতে হলে চুপচাপ লোকের বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আসুন। ভিড় জমা করবেন না।’
বলে রাখি, করোনার ত্রাণ বিলি শুরু হতেই একে জনসংযোগের মাধ্যম হিসাবে বেছে নেন বহু রাজনৈতিক নেতা ও সংগঠন। ত্রাণ বিলির ছবি তুলে ছড়িয়ে দেন সোশ্যাল সাইটে। বলা বাহুল্য, ছবি তোলার দৌড়ে সব থেকে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই। এমনকী রেশনের চাল দলের পতাকার নীচে বিলি করার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কিছুদিন পর ত্রাণ দিয়ে ছবি তোলার প্রবণতার সমালোচনা শুরু হয় সোশ্যাল সাইটে। এর পর বিজেপি ত্রাণপ্রাপকদের পরিচয় গোপন রাখতে তাঁদের মুখ স্মাইলি দিয়ে ঢেকে দিলেও তৃণমূলের তরফে তেমন কোনও উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি।