আজ, রবিবার থেকে খুলে যাচ্ছে জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর। সাধারণ মানুষের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে এখানে। মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে তৈরি জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর গত অক্টোবর মাসে উদ্বোধন করেছিলেন মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা। যা আজ ৩ ডিসেম্বর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হল। একে শীতের আমেজ তার উপর ছুটির দিন হওয়ায় এখানে মানুষের ভিড় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের ছেলে–মেয়ে রা যাঁরা বিজ্ঞানমনস্ক তাঁরা এখানে আসবেন। এখানে দেখার কি আছে, শেখার কি আছে এবং আকর্ষণীয় বিষয় কোনগুলি সেগুলি নিয়ে এখন কৌতূহল তুঙ্গে।
এদিকে মহাকাশের জোতিষ্ক, ছায়াপথের প্রদর্শনী এখানে করা হচ্ছে। যা এসে দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষজন। জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘরে রাখা হয়েছে নীল আমস্ট্রংয়ের চুল, চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহ থেকে আনা পাথর–সহ নানা বস্তু। যা দেখতে উৎসাহী রাজ্যের মানুষজন। ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর ফিজিক্সের প্রথম তলায় এই জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই ইনস্টিটিউট নেতাজি নগরে অবস্থিত। দক্ষিণ কলকাতার মধ্যবর্তী স্থানে এই জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এখানের অধিকর্তা অধ্যাপক সন্দীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আজ থেকে এই জাদুঘর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যে ৬ পর্যন্ত খোলা থাকছে।’
অন্যদিকে শুধু আজই খোলা থাকছে এমন নয়। এই জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর খোলা থাকবে প্রত্যেক শনিবার এবং রবিবার। অন্যান্য ছুটির দিনে খোলা থাকবে কিনা সেটা পরবর্তী নোটিশ পেলে জানা যাবে। এখানে প্রদর্শনীর মূল বিষয়টি রাখা হয়েছে, চাঁদের মাটিতে পা রেখে নীল আমস্ট্রং হেঁটে বেড়াচ্ছেন। প্রথম কোনও মহাকাশচারী চাঁদে পৌঁছে কী দেখেছিল? কেমন করে হেঁটে ছিল? এবং সেখান থেকে সংগ্রহ করা নানা জিনিস দেখতে পাওয়া যাবে। শনিবার দিন এখানে এসেছিলেন নাসার জেট ল্যাবরেটরির শীর্ষ বিজ্ঞানী ড. গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তিনি জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সবটা দেখে বেশ খুশি হন। তাঁর কথায়, ‘এত বিশাল সংগ্রহ দেখে আমি রোমাঞ্চিত। আমার জানার বাইরেও এতকিছু ছিল যা দেখতে পেয়ে আমি আনন্দিত। আমার মতে, এটি সমগ্র দেশে এক বিশেষ ধরনের জাদুঘর।’
আরও পড়ুন: ‘ডোমজুড়ের তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে মেনে নেবেন না’, রাজীবকে কড়া বার্তা তৃণমূল বিধায়কের
এছাড়া এখন সামান্য কিছু পড়ুয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেন। বেশিরভাগ পড়ুয়াই জীবিকা সংক্রান্ত পড়াশোনার দিকে ঝুঁকেছেন বলে মনে করেন এই বিজ্ঞানী। তবে এই জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর দেখলে অনেকেই আকর্ষিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী পড়ুয়ারা বিজ্ঞান চর্চা করতে উৎসাহিত হবেন এমনটাও মনে করা হচ্ছে। এখানে বহু হাতে লেখা ডায়েরি আছে। যেখান থেকে জানা যাবে মহাকাশচারীর কথা, অনুভবের কথা এবং কেমন লেগেছিল তখন—তাও জানতে পারা যাবে। সাড়ে সাত হাজার স্কোয়ার ফিট জায়গা জুড়ে এই জ্যোতির্বিদ্যার জাদুঘর গড়ে উঠেছে। সুতরাং দেখার আছে অনেক কিছুই। এখানে একজনের টিকিটের দাম ১০০ টাকা। আর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য।