তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবার বামেদের নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বিধানসভা ভোটের আগে বিরোধী হিসাবে বিজেপিকেই আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। সম্প্রতি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বামেদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে দেখা গিয়েছে। এরপর সরকারের বর্শপূর্তি উপলক্ষে বামেদের নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী জানান, ‘বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ধরে নরকঙ্কালের মালা পড়িয়েছে। ওই সময়ে থানায় অভিযোগ জানাতে কেউ যেতে পারত না।’
ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু থেকে শুরু করে বগটুইয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, ঝালদহ, পানিহাটিতে কাউন্সিলারের খুনের ঘটনার মতো একাধিক ইস্যু সামনে এসেছে। বার বার পুলিশের ভূমিকা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ছে। প্রশ্ন উঠছে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। বিরোধীরা আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছেন। এই পরিস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে বাম আমলের পুরনো স্মৃতিকেই উস্কে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামেদের নিশানা করেই তৃণমূল নেত্রী জানান, ‘৩৪ বছর বামফ্রন্ট ছিল। গলায় ঘণ্টা বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভাবছ কবে আবার ক্ষমতায় আসব। মোয়াটা পাব।’ বামেদের সঙ্গে বিজেপির যে তলায় তলায় যোগ রয়েছে, সেকথা তুলে তৃণমূল নেত্রী জানান, ‘প্রথম থেকেই বিজেপির ভোট বৃদ্ধির পিছনে বামেদের অবদান রয়েছে। বামেদের সঙ্গে বিজেপির তলায় তলায় যোগাযোগ রয়েছে। যারা বাম ছিল, তাঁরাই এখন বিজেপি হয়ে গিয়েছে।’
রাজ্যে নারী নির্যাতনের প্রশ্নে বিগত বাম সরকারের সঙ্গে নিজের সরকারের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কটাক্ষ, ‘আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করেছি, ওরা করেছে কুৎসার ভাণ্ডার। যদি কেউ অন্যায় করে আমরা ছাড়ি না। পাপ করলে একদিন না একদিন বিচার হবেই। বাংলাকে দুর্বল ভাবার কারণ নেই। বাংলা সবাইকে নিয়ে চলতে জানে। আমাদের নতুন করে শিক্ষা দেওয়ার দরকার নেই। ১১ বছরের সরকার। এই ১১ বছরে আমি যা করে দিয়েছি, চ্যালেঞ্জ করছি আমাকে ফেস করুন। আমি ফেস করতে প্রস্তুত। আমাকে চমকে লাভ নেই। ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।’