বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন রেখেছে, দলের শীর্ষ কমিটিতে জায়গা পেয়েও পুরনো দলে ফিরে যাচ্ছেন কেন? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতেই এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে দেখা দিয়েছে ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনের কাছে। কারণ এই রাজীবকেই জাতীয় কার্যকরী কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছিল। একুশের নির্বাচনের আগে চার্টার্ড বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গিয়ে যোগ দিয়েছেন।
কিন্তু কেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে রাজীব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আমি ভুল করেছিলাম স্বীকার করছি। ভুল তো মানুষই করে। জেদের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিষেধ করেছিলেন। আমাকে অভিষেক আধ ঘন্টা বুঝিয়েছিলেন। আমি অনুতপ্ত। সেদিন কথা শুনলে আজ দিশাহীন হতাম না।’
এখন বিজেপির কাছে রাজীব গদ্দার। অনেকে বলছেন আপদ বিদেয় হয়েছে। আবার কেউ বলছেন ৫৫ বছরের শিশু। আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ আর নাম বলতে চাই না। কিন্তু আমি চার্টার্ড বিমানে যেতে চাইনি। আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি বিজেপিতে থেকেও বারবার প্রতিবাদ করেছি। একুশের নির্বাচনে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল আমি তার প্রতিবাদ করেছি।’
শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীবকে কোরাপ্ট লোক বলেছেন। কেন দলে নেওয়া হয়েছে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। এই বিষয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপধ্যায় আমার সম্মানীয় অভিভাবক। উনি কী বললেন আমাকে নিয়ে, আমি ভাবছি না। আমাকে দল যে দায়িত্ব দেবে আমি সেটাই করব। আমি রং নিয়ে ভাবি না। আমি সব ধরণের পোষাকও পড়ি। আজ সবুজ পড়লাম মানে এটা নয় যে, আমি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরছি বলে।’