লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাতে সপ্তম দফায় রয়েছে দক্ষিণ কলকাতা–সহ আরও কিছু লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। তারিখটা ১ জুন। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম মালা রায়। যিনি কাজের নিরিখে গোটা লোকসভা কেন্দ্রে জনপ্রিয়। তাছাড়া কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। এখানের সিটিং এমপি। বারবার জিতেছেন। সেখানে সিপিএম প্রার্থী করেছে সায়রা শাহ হালিমকে। যিনি প্রয়াত বিধানসভার স্পিকার হাসিম আবদুল হালিমের পুত্রবধূ। আর ডাঃ ফুয়াদ হালিমের স্ত্রী। একইসঙ্গে বলিউডের প্রবীণ জনপ্রিয় অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের ভাইঝি। বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে ভাল ফাইট করলেও হেরে যান বাবুল সুপ্রিয়র কাছে।
এবার অভিনেতা তথা কাকা নাসিরুদ্দিন শাহ ফোন করে শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ ভাইঝি তথা কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে জানালেন। এই বর্ষীয়ান অভিনেতা সম্পর্কে সায়রা শাহ হালিমের কাকা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কলকাতায় আসার জন্য নাসিরুদ্দিনকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় আসতে পারছেন না বলে সূত্রের খবর। তবে তিনি আসতে না পারলেও ফোনে ভাইঝিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। আগামী দিনে কলকাতায় আসতে পারেন নাসিরুদ্দিন শাহ।
আরও পড়ুন: সুজাতা মণ্ডলকে সেন্সর করল তৃণমূল কংগ্রেস, দলীয় বৈঠক থেকে জারি হয়েছে নির্দেশ
বালিগঞ্জের উপনির্বাচনের সময়ও সায়রাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন। সেই ভিডিয়ো বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এবার অবশ্য টেলিফোনে কথাবার্তা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রার্থী সায়রা হালিম বলেন, ‘এখন উনি (কাকা) অসুস্থ। তাঁর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। উনি আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। প্রচারের জন্য আমি সাহায্য চেয়েছি। উনি সেটা পূরণ করার চেষ্টা করবেন বলেছেন।’ ঠিক কী কথা হয়েছে দু’পক্ষের? সায়রার দাবি, ‘আমাকে অনেক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তোমাকে জিততেই হবে। এমন কথাও বলেছেন।’ বিজেপির বিরুদ্ধে আগাগোড়াই সরব নাসিরুদ্দিন। আগে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তিনি সরব হন। সিএএ’র বিরুদ্ধে খোলা চিঠি লেখেন। যদিও বিজেপি এখানে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি।
এই শুভেচ্ছা মাথায় নিয়েই প্রচারে নেমে পড়েছেন সায়রা শাহ হালিম। নেতা–কর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। ছোট ছোট পথসভা করা হচ্ছে। প্রত্যেকদিন সায়রাকে দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের নানা প্রান্তে। সঙ্গে থাকা নেতারা বাড়ি বাড়ি নিয়ে গিয়ে নতুন মুখ সায়রাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে পরিচিত করাচ্ছেন। গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ের পর ঘটনাস্থলে যান সায়রা। আলিমুদ্দিনের লালবাড়ি থেকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনেও দেখা গিয়েছে। সুতরাং বিরুদ্ধে হেভিওয়েট প্রার্থী থাকলেও বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ সিপিএম।