বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই ভোটার তালিকা সংশোধন করার কাজের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এই কাজ শুরুর আগেই কর্মী সংখ্যা তুলনায় অনেক কম দেখা দিয়েছে। তাই এই কাজ বিলম্বিত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে একজন ‘বুথ লেভেল অফিসার’–এর উপরে একাধিক বুথের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন।
বিষয়টি ঠিক কী হচ্ছে? নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষকরা বুথ লেভেল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। এক একটি বুথে আগে তিনজন করে বিএলও দায়িত্ব পেতেন। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বুথে মোট ভোটার সংখ্যা তিন ভাগে ভাগ হয়ে যেত। আর কাজটাও খুব সহজ হতো। এবার সম্ভবত একজন বুথ লেভেল অফিসারকেই একটি বুথের দায়িত্ব পালন করতে হবে। যা খুব কঠিন কাজ। আবার একাধিক বুথের দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে। এই ঘটনা যদি ঘটে তাহলে গোটা ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তাহলে ঠিক কী হবে? ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে দেখা হবে, কোনও মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায় থেকে গিয়েছে কি না। কোনও ব্যক্তির নাম দু’জায়গায় থাকলে তা বাদ দেওয়া হবে। নতুন ভোটার হিসেবে যাঁরা নাম তুলতে চাইবেন তাঁরা তথ্য দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। নতুন ভোটারদের উপরে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এই কাজের পরে গোটা তথ্যভান্ডার নিয়ে খসড়া তালিকা তৈরি হবে। তার পর শুরু হবে ‘স্পেশাল সামারি রিভিশন’। আগামী ৫ জানুয়ারি প্রকাশ পাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তার ভিত্তিতে হবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন।
আরও পড়ুন: বৈদ্যবাটির একাধিক বাড়িতে দেখা দিল ফাটল, হালিশহরের রাস্তায় ধস, কী বলছে পুরসভা?
আর কী জানা যাচ্ছে? এই কর্মী সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা কানে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষকর্তার কানে। তাই আগামী ১৯ অগস্ট রাজ্যে আসতে পারেন তিনজন উপনির্বাচন কমিশনার। তাঁরা গোটা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর। তাঁরা ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজও খতিয়ে দেখতে পারেন। এখন রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৭৫ হাজার ৫০১টি। ভোটার সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি হলে নতুন বুথ তৈরি করা হয়। সুতরাং ভোটার সংখ্যা বাড়লে তার উপর আগামী দিনে বুথ সংখ্যাও বাড়ার বিষয়টি নির্ভর করবে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায়।