বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল একাকী বৃদ্ধের ক্ষতবিক্ষত দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের গোড়াবাজার এলাকায়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এই অবস্থায় বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ জানিয়েছেন বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। ওই বৃদ্ধার নাম তারা শর্মা (৬৮)।
আরও পড়ুন: নাগেরবাজারে বৃদ্ধা খুনে তীব্র আলোড়ন, নেপথ্য রহস্য খুঁজতে তদন্তে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোড়াবাজারের বাড়িতে বৃদ্ধা একাই থাকতেন বৃদ্ধা। মাস খানেক আগেই তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। তাদের একমাত্র মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে দমদমের বাড়িতে তিনি একাই দিন কাটাতেন। তবে গত সোমবার বৃদ্ধার মেয়ে তাঁকে বারবার ফোনে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপর তিনি বৃদ্ধা মায়ের বাড়ি চলে যান। সেখানে গিয়ে দরজা বন্ধ থাকতে দেখেন। বেশ কয়েকবার তিনি দরজায় ধাক্কা দেওয়া সত্ত্বেও দরজা খোলেননি বৃদ্ধা। এরপর তিনি দমদম থানায় ফোন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ওই মহিলার বৃদ্ধার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে বৃদ্ধার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। আঘাত এতটাই জোরে করা হয়েছিল যে এরফলে মাথার খুলি ফেটে ঘিলু বেরিয়ে আসে। বৃদ্ধার মেয়ের দাবি, তার মাকে খুন করা হয়েছে। যদিও কী কারণে এই খুনের ঘটনা তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামী অশোক শর্মা একটি বহুজাতিক সংস্থার উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে বৃদ্ধাকে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। তবে আর তারপরে তাঁকে দেখা যায়নি। ফলে সকলের পরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। যদিও কী কারণে ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে সে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট নন পরিবারের সদস্যরা বা পুলিশ। সেক্ষেত্রে একাকী বৃদ্ধের বাড়িতে লুঠের উদ্দেশ্যে খুন নাকি অন্য কারণে খুন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে দমদম থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, বছরখানেক দমদমের নাগেরবাজারে একইভাবে এক বৃদ্ধাকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে লুঠের উদ্দেশ্যে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর গায়ের গহনা লুঠ করে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।