রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল কি পরিকল্পিত? প্রশ্ন উঠল আরেক ভুল ধরা পড়ায়। এবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল ধরা পড়ল আদালতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় আদালতের নির্দেশ, সমস্ত পরীক্ষার্থীকে বাড়তি নম্বর দিতে হবে। আদালতের এই সিদ্ধান্তে মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া এবার ঘেঁটে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিজানুর ইসলাম নামে এক শিক্ষক। তাঁর দাবি, মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতামান অর্জনের মাপকাঠি ছিল ৬১ নম্বর। সেখানে তিনি পেয়েছিলেন ৬০.৫। প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্নের বিকল্প ভুল দেওয়া ছিল বলে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। দাবি জানান, ওই প্রশ্নে পূর্ণমান দিতে হবে সবাইকে। এই দাবিতে গত ২৮ জুলাই মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলাটি আদালতে উঠলে দেখা যায়, পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে, রাজ্য বিধানসভায় জিরো আওয়ার হল:
১) দুপুর ১টা ২) ঘুমানোর সময় ৩) সভা সমাপ্তির সময় ৪) বাক্যবাণে আক্রমণ করার কাম্য সময়
প্রশ্নর সঠিক উত্তর জানতে বিধানসভার কাছে প্রশ্নের উত্তর জানতে চান বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। গত ২৮ নভেম্বর জবাবে বিধানসভার তরফে জানানো হয়, এই প্রশ্নের চারটি উত্তরই ভুল। বিধানসভায় জিরো আওয়ারের জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময় ধার্য নেই। এর পর বৃহস্পতিবার ওই প্রশ্নে পূর্ণমান দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রায়।
ওদিকে বাড়তি নম্বর পেলে আরও অনেকে ইন্টারভিউর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তাঁদের ইন্টারভিউ নিতে হবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে ১২১ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল।