ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় করা যাবে না করোনার কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র। শুক্রবার নবান্নে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। ২ দিন আগেই অবশ্য এই নবান্নে বসে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নিয়ে রীতিমতো ধমকের সুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। বলেছিলেন, ‘ইচ্ছা করলে যে কোনও জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করতে পারে সরকার। ২ সেকেন্ডের মধ্যে অধিগ্রহণ করতে পারি।‘ ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে সম্পূর্ণ উলটো সুর মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা যাবে না। তপসিয়ায় একজায়গায় আমি নিজে বারণ করেছি। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার মানে সেখানে করোনা রোগী রয়েছে তার কোনও মানে নেই। আমরা সেখানে কিছু লোককে নজরে রাখছি। কিন্তু তাও ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই।’ এপ্রসঙ্গে আসানসোলের চুরুলিয়ার ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে অন্য কথা বলেছিলেন মমতা। সেদিন তিনি বলেছিলেন, 'সরকার চাইলে যে কোনও জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বা করোনা হাসপাতাল করতে পারে। এক সেকেন্ড লাগবে অধিগ্রহণ করতে।' সঙ্গে এসব বিক্ষোভের পিছনে বিরোধীদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সঙ্গে এদিন চুরুলিয়ার ঘটনায় জামুড়িয়া থানার আহত ওসিকে ফোন করে কুশল জানেন মমতা। তাঁর ভাঙা পায়ের যত্ন নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি নিয়ে যে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে তা বুঝতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়ানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। সঙ্গে আহত ওসিকে ফোন করে বাহিনীর মনোবল অটুট রাখার চেষ্টা করলেন। তাতে সাপও মরল আর লাঠিও ভাঙল না।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে জামুড়িয়া থানা এলাকার চুরুলিয়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। মুসলিম অধ্যুষিত ওই এলাকায় হামলাকারীদের রডের আঘাতে পা ভাঙে ওসির।