সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের কালারফুল নেতা একটু দূরে সরে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছিলেন। মিডিয়াকে বয়কট করার কখাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। তারপর থেকেই তাঁর আচরণে অবসরের গুঞ্জন তৈরি হয়। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। কিন্তু যাব বললেই কি আর যাওয়া যায়! কারণ এই প্রেক্ষাপটে তাঁর খোঁজ নিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরের সাংগঠনিক সভার মঞ্চে উঠেই মদন মিত্রের খোঁজ করলেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছে নেতাজি ইন্ডোরে? আজ, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জেলার নেতা–কর্মীদের সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি–সহ প্রথমসারির নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রীরা ছিলেন। এমনকী সেখানে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও। তখন মঞ্চে উঠে প্রথমেই তাঁর খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকেই বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম এসে দেখব, মদন এসেছে কি না। তা আমি ওকে খোঁজার আগেই দেখলাম ও নিজেই হাত দেখাল।’ অর্থাৎ দলের কালারফুল নেতা যে অবসর নিচ্ছেন না সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন মদনের অবসরের প্রসঙ্গ ওঠে? আজ, বৃহস্পতিবার কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘আপাতত ২০২৬ পর্যন্ত বিধায়ক আছি। তারপর নতুন করে ভাবতে হবে। সকলকেই ভাবতে হবে আর দাঁড়ানো উচিত কিনা। অন্য কারও দাঁড়ানো উচিত কি না। আমার থেকে ভাল আর কেউ আছে কি না। আমি বিধানসভায় গিয়ে অনেককেই বলতে শুনেছি উনি ১১ বারের বিধায়ক। আমার খারাপ লাগে। আমার খেলা দেখে নতুন প্রজন্ম শিখবে। তাই নিজেকে নিজের মতো গুটিয়ে নিয়েছি। যা না পাওয়ার ছিল সেটা না পাওয়াই থাক।’ এরপর থেকেই অবলরের গুঞ্জন তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজনীতিতেও বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়। আর এবার মদন মিত্রর গলাতেও সেই সুর শোনা গিয়েছিল। একুশের নির্বাচনে প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যে কামারহাটি থেকে জেতেন মদন মিত্র। তবে তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। এহেন ‘রঙিন’ চরিত্র এবার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন।