জেলযাত্রার পর ভোটে পরাজয়। গেছিল মন্ত্রিত্বও। রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্র থেকে একেবারে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই ফের লাইম লাইটে আসেন ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে। সেজন্যই বিশ্বজুড়ে সামাজিক মাধ্যমে আজ তাঁর কোটি কোটি ভক্ত। সেই ফেসবুক লাইভের জন্যই মদন মিত্রকে পড়তে হল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে। শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মদন মিত্রকে তুমুল ভর্ৎসনা করেন মমতা। বলেন, ইন্টারনেটে যা খুশি তাই বলা যায় না।
মাঝেমাঝেই ফেসবুল লাইভে এসে নানা বক্তব্য তুলে ধরেন মদনবাবু। এমনকী তাঁর বিভিন্ন সময় তাঁর শৈল্পিক নৈপুণ্যের প্রমাণও মেলে সেখানে। কিন্তু ফেসবুক লাইভে তাঁর নানা মন্তব্যে মুশকিলে পড়তে হয় দলকে। দলের তরফে মন্তব্য করার দায়িত্বে না থাকলেও ব্যক্তিগত পেজে করা মন্তব্যের ঢেউ সামলাতে হয় দলীয় নেতৃত্বকে।
শুক্রবার রাতে ঘটে তেমনই এক ঘটনা। ফেসবুক লাইভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কামারহাটি পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব চেয়ে বসেন মদন। দাবি করেন, দায়িত্ব পেলে তিন মাসের মধ্যে কামারহাটিতে কলকাতার থেকেও উন্নত করে তুলবেন। আর তা না পারলে দলনেত্রী তাঁকে সরিয়ে দিতে পারেন। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই ভিডিয়ো সরিয়ে দেন মদন। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
এদিন ফেসবুক লাইভে বারবার দলের অনুমোদনহীন মন্তব্য করায় মদনকে ভর্ৎসনা করেন মমতা। বলেন, ফেসবুকে মুখ সামলে কথা বলতে হবে। ওখানে যা খুশি বলা যায় না। বৈঠকের পর সেকথা স্বীকার না করলেও মদন বলেন, ‘দিদি আমায় বলেছেন, সবাই তোমায় ভালবাসে। তুমি ফেসবুকটা আরেকটু সাজিয়ে গুছিয়ে করো।’ মদনের দাবি, ‘সেরা টিম হয়েছে। এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য ২০২৪ সালে বিজেপি হঠাও আর ২০২৬ সালে তৃণমূল লাও। সেজন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে।’
বলে রাখি, বিধানসভা ভোটে জিতলেও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি মদন মিত্রের। এদিন দলের সংগঠন পুনর্বিন্যাসেও তাঁকে কোনও দায়িত্ব দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই নিয়ে এদিনও কোনও কথা বলেননি মদন।