এবার কৃষি–শিল্পকে পাশাপাশি রেখে কর্মসংস্থান করার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার সরকার গড়ার পর এখন শিল্প–কর্মসংস্থানেই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। আর তার জন্য রাজ্যে কী কী তৈরি হচ্ছে তাও বাতলে দেন তিনি। সেখানে একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তিনি। আর তার মাধ্যমেই হবে কর্মসংস্থান হবে বলে জানান তিনি।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? এদিন কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেউচা পাঁচামি, তাজপুর বন্দর, নতুন সিলিকন ভ্যালি— বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। আগামী ৫০ বছর রাজ্যের কয়লা নিয়ে কোনও চিন্তা করতে হবে না। বিদ্যুতের দাম কমে যাবে। তৃণমূল সরকার থাকলে ভাতা, বিনামূল্যে রেশন— সব পাবেন। জোর করে কারও জমি দখল করব না।’
কয়লাখনি নিয়ে কী বললেন? দেউচা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমে গিয়েছে। একদিকে কৃষি, একদিকে শিল্প এটা আমার চ্যালেঞ্জ। জোর করে জমি নেব না। দেউচা পাঁচামির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দেউচাতে সবচেয়ে ভাল কয়লা পাওয়া গিয়েছে। আগামী ১০০ বছরে বিদ্যুতের অভাব হবে না এই দেউচা হয়ে গেলে। আমরা বিদ্যুতের দাম কমাতে পারব। ১ লক্ষ যুবক–যুবতীর চাকরি হবে দেউচাতে।’
এখান থেকেই একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আগামী ২ অগস্ট পুজো নিয়ে বৈঠক। সেপ্টেম্বর জুড়ে পুজোর অনুষ্ঠান। কর্মীরা সাইকেল নিয়ে গ্রামে ঘুরবে। সাংসদরা প্রয়োজনে রিক্সা করে ঘুরবে। চায়ের দোকানে বসবে। একজনকে চা খাওয়াবে। কিন্তু চায়ের দোকানের টাকায় চা খাবেন না। দলের নামে কারও কাছে চাঁদা তুলবেন না। আমি দুটি অভিযোগ পেয়েছি। মিডিয়ার সামনে যা ইচ্ছে বলবেন না। মনে রাখবেন তৃণমূল সুশৃঙ্খল দল। ৯ অগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস। প্রভাত ফেরি হবে। ওইদিন মহরমও রয়েছে। তাই ১০ থেকে ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। ১টার পর মহরমের তাজিয়া বের হয়। ১৪ অগস্ট ফ্রিডম অ্যাট মিড নাইট হবে।