বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগের ছবিটা একবার মনে করা যাক।একেবারে স্রোতের মতো তৃণমূল সহ অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে হু হু করে লোকজন ঢুকতে শুরু করেছিলেন। কে আগে গিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতাদের ঘনিষ্ঠ হবেন তার একেবারে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ একের পর এক তৃণমূল নেতা কর্মীরা সেই সময় ভিড়ে যান বিজেপিতে। বিজেপি শিবিরে তখন ছিল শুধুই উল্লাস। আর বিষন্নতার ছবি ছিল ঘাসফুল শিবিরে। আর ভোটের পরেই গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবির পর একেবারে আমূল বদলে যেতে শুরু করেছে আগের ছবিটাই। এমনকী বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকের পর্যালোচনাতেও উঠে এসেছে সেই হতাশাজনক ছবি।
বুধবার রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকের প্রথম পর্বে সংগঠনের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ে। সূত্রের খবর সেই রিপোর্টে দলের হতাশাজনক ছবিটা তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপি ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে ও তৃণমূলে যাওয়ার হিড়িক ক্রমেই বাড়ছে। এমনকী তাৎপর্যপূর্ণভাবে এখন নব্য বিজেপিরা অর্থাৎ তৃণমূল থেকে আসার পরেও যাঁরা এখনও বিজেপিতে থেকে গিয়েছেন তাঁরা বেশি সক্রিয়। অন্যদিকে আদি বিজেপির অনেকেই কার্যত বসে গিয়েছেন।
মুকুল রায় ও অর্জুন সিংয়ের এলাকাতেও ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ব্যারাকপুর, বসিরহাট, বনগাঁ সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি ছাড়ার প্রবণতা রয়েছে। অন্য়দিকে সক্রিয়তার নিরিখে আদি বিজেপির অনেকেই এখনও সক্রিয় হতে পারেননি। এর জেরে দলের দুর্বলতা ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। অনেকেই মনমরা হয়ে থাকছেন।