আজ, সোমবার থেকে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শহর থেকে জেলায় শুরু হয়েছে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পঠনপাঠন। আর এই কর্মসূচি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মাঠে নামলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। চেতলা এলাকায় চলা শিক্ষালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। মেয়রের এলাকার এই শিক্ষালয়ে আসে পড়ুয়ারা। আনন্দের সঙ্গে তারা পঠনপাঠন শুরু করে। এখানেই তিনি জানিয়ে দেন এই কর্মসূচি কতদিন চলবে।
ঠিক কী বলেছেন মেয়র? সোমবার পাড়ায় শিক্ষালয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পাড়ায় শিক্ষালয় চলবে। এভাবেই মাঠে আনন্দ করে ক্লাস হবে। আমরা ধীরে ধীরে স্কুলগুলিকে পৃথক করে দেব। এক একটা স্কুল এক–এক জায়গায় ক্লাস করবে। যেখানে পড়ুয়া বেশি, সেখানে ক্লাস হবে। শান্তিনিকেতনেও তো গাছের তলায় পড়াশোনা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুরু করে গিয়েছিলেন। প্রকৃতির মাঝখানে পড়াশোনা করার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমরা কাঠ–সিমেন্ট দিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম। তার আগে তো এমনভাবেই পড়াশোনা হতো। এটা একটা আলাদা আনন্দ আছে। কিছুদিন উপভোগ করুক। তারপর যদি আমাদের যে অ্যাডভাইজারি কমিটি রয়েছে, যাঁরা কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন, তাঁরা বললে সেই বুঝে সিদ্ধান্ত হবে।’
উল্লেখ্য, মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে শিলিগুড়িতে ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা জানানো হয়। পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচিতে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটু শেড করে দেওয়া উচিত ছিল। তবে শিলিগুড়িতে এমন হওয়ার কথা নয়। কারণ ওখানে তো প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আমি তো মঙ্গলবারই শিলিগুড়ি যাচ্ছি। আমাকে বলেছে মোটা সোয়েটার নিয়ে যেতে।’