বিদেশে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। তবে এবার সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম অভিষেককে কটাক্ষ করে টুইট করেছিলেন। আর সেই টুইটে তিনি যে ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন তা নিয়েই এবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে সিপিএমের অন্দরে।
এমনকী সিপিএমের নেত্রীদের একাংশও এনিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ঠিক কোন শব্দকে কেন্দ্র করে এই সমস্যা তৈরি হল? ঠিক কী লিখেছিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম?
তিনি লিখেছিলেন, এমপি কাম মাফিয়া ডন কয়লা পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে সেলফি তুলে পাঠিয়েছেন। বিজেপির বসেরা তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। তিনি ১৫জন বিদেশি পতিতার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন তার অবৈধ সম্পদ জমা রাখার জন্য। লিখেছেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম। কিন্তু তার টুইটে পতিতা শব্দটিকে ঘিরেই যত আপত্তি। কারণটা অবশ্য ভিন্ন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সিপিএমের নেতারা সাধারণত পরিশীলিত শব্দ ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। এটাই বাম সংস্কৃতি। এমনটাই দাবি করা হয়। সচরাচর বাম নেতারা মহিলাদের সম্পর্কে কটূ শব্দ ব্যবহার করতে চান না। তবুও বাম আমলে এনিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠত। তবে সেই সময় ক্ষমতার দম্ভে সেসবকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন না তাঁরা। কিন্তু অনেকদিন হল ক্ষমতায় নেই সিপিএম নেতৃত্ব। তবে এই দুঃসময়তেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে প্রস্টিটিউট শব্দটি ব্যবহার করেছেন সেলিম। এতেই অস্বস্তিতে দলের নেত্রীদের একাংশ। কারণ সিপিএমের একাংশ মনে করেন এভাবে কাউকে প্রস্টিটিউট বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে প্রস্টিটিউট না লিখে যৌনকর্মী বা সেক্স ওয়ার্কার লেখা যেত।
আসলে দলের নীচু তলার কর্মীদের দাবি সেক্স ওয়ার্কার শব্দটির মধ্য়ে মহিলাদের অপমান করার দিকটা কম। তবে প্রস্টিটিউট শব্দটির মাধ্য়মে মহিলাদের প্রতি একটা নোংরা ইঙ্গিত থাকে। এটা থেকে বিরত থাকা দরকার। তবে বাম নেতাদের অনেকেরই মতে, হয়তো অসতর্ক হয়ে একথা বলে ফেলেছেন।