যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে কিছুক্ষণের জন্য কলকাতা মেট্রোর নর্থ-সাউথ করিডরে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। শোভবাজার-সুতানটি স্টেশনে থমকে ছিল একটি মেট্রো। সেই পরিস্থিতিতে প্রায় ৫০ মিনিট কলকাতা মেট্রোর নর্থ-সাউথ করিডরের (ব্লু লাইন) পুরো অংশে পরিষেবা মিলছিল না। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে বেলা ১২ টা ১৮ মিনিট থেকে ফের পুরো লাইনে পরিষেবা চালু করা হয়েছে। প্রায় ৫০ মিনিট পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছিল। এখন পরিষেবা পুরো স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
মেট্রোর পরিষেবা ব্যাহত
মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে শোভবাজার-সুতানটি স্টেশনে আটকে পড়ে একটি মেট্রো। সেইসময় আপ লাইনে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চালানো হচ্ছিল। ডাউন লাইনে সেন্ট্রাল থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রোর পরিষেবা মিলছিল। অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে বেলগাছিয়া পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ ছিল।
তবে ঠিক কী হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। প্রাথমিকভাবে মেট্রো রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র শুধু জানিয়েছিলেন যে ৩২০১ নম্বর কোচে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে। তার জেরে শোভবাজার-সুতানটি স্টেশনে একটি মেট্রো আটকে আছে। আপাতত দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং সেন্ট্রাল থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মেট্রো রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রেকর্ড
একদিকে যখন নর্থ-সাউথ মেট্রো করিডরে (গ্রিন লাইন) পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, তখন রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত অংশ। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম এক মাসে এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত অংশে ১২.১৪ লাখ যাত্রী চলাচল করেছেন। গত ১৫ মার্চ বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হয়। আর ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, তাতে মেট্রোর কোষাগারে ঢুকেছে ১.৭৫ কোটি টাকা।
ওই সময়ের মধ্যে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত লাইনে মেট্রো কর্তৃপক্ষের আয় হয়েছে ২৩.১ কোটি টাকা। ১.৫২ কোটি যাত্রী চড়েছেন। অর্থাৎ ব্লু লাইনে যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও গ্রিন লাইনের থেকে অনেক বেশি আয় হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। কারণ ওই অংশের দূরত্ব অনেক বেশি। সর্বোচ্চ ভাড়াও বেশি পড়ে। অন্যদিকে, কবি সুভাষ থেকে রুবি পর্যন্ত অংশে (অরেঞ্জ লাইন) ওই এক মাসে ২৪,২০৫ জন যাত্রী মেট্রো ব্যবহার করেছেন। আয় হয়েছে ৫.৫৭ লাখ টাকা।