বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > পাতালপথে তৈরি হচ্ছে পাতাল কুয়ো, পাঁচ মাসের জন্য রাস্তা বন্ধের প্রস্তাব মেট্রোর

পাতালপথে তৈরি হচ্ছে পাতাল কুয়ো, পাঁচ মাসের জন্য রাস্তা বন্ধের প্রস্তাব মেট্রোর

ওয়েলিংটন স্কোয়ারের কাছে তৈরি হবে একটি ‘কুয়ো’।

সুতরাং বাস, ট্রাম ও বড় গাড়ির জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারতে মহানগরীর বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হবে। তবে সেটা সাময়িক। হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রো পথ জুড়তে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের ৫৫ মিটার অংশ পাঁচ মাসের জন্য বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বাস, ট্রাম ও বড় গাড়ির জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী কাজ হবে সেখানে? মেট্রো সূত্রে খবর,‌ পাতাল পথে মেট্রো টানেলে তাজা বাতাস প্রবেশ করাতে হবে। আবার দূষিত বাতাস বের করতে হবে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তার জন্য ওয়েলিংটন স্কোয়ারের কাছে তৈরি হবে একটি ‘কুয়ো’। ইঞ্জিনিয়ারিং পরিভাষার যাকে বলে ‘আই ভি শ্যাফ্ট’। এই কাজ করতে গেলে রাস্তা বন্ধ রাখতেই হবে।

এই ‘কুয়ো’ কেন তৈরি হচ্ছে? জানা গিয়েছে, সল্টলেক এবং হাওড়াগামী মেট্রোর দু’টি কংক্রিটের টানেলকে ফুটো করে বাতাস খেলার জন্য সরু টানেল তৈরি করতে হবে। মাটি থেকে প্রায় ৮ মিটার নীচে প্রস্তাবিত ওই ৪৫ মিটার টানেলের মুখ বের হবে কুয়ো পর্যন্ত। এই কুয়ো তৈরি হবে পাতালেই। আবার আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের বের করতেও কাজে লাগানো হবে ওই রাস্তাকেই।

কেন বন্ধ রাখা হবে রাস্তা?‌ মেট্রো রেলের এক আধিকারিক জানান, নতুন সরু টানেল তৈরি করা হবে সম্পূর্ণ হাতে কলমে। এখানে কোনও টিবিএম ব্যবহার করা হবে না। আগেই ওয়েলিংটন মোড়ের কাছে রাস্তায় চিড় ধরা পড়েছিল। যা এখনও ঘেরা রয়েছে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে পাঁচ মাসের মধ্যে যাবতীয় কাজ সারার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, পাতাল পথে মেট্রো টানেলের মধ্যে দু’টি স্টেশনের দূরত্ব এক থেকে ১.৫ কিলোমিটার হওয়া উচিত। সেখানে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার মধ্যে দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটার। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে কলকাতা পুরসভার অতিপ্রাচীন জলাধার থাকায় এই কাজ বেশ চ্যালেঞ্জের। দুই স্টেশনের মধ্যে বাড়তি দূরত্বের কথা মাথায় রেখে গোটা যাত্রাপথে তৈরি হচ্ছে আটটি ক্রস প্যাসেজ বা যাত্রী বের করার পথ। তাই সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ কুয়ো। এই কঠিন কাজ সারতে গোটা তিলোত্তমাকে পাশে চায় কেএমআরসি।

বন্ধ করুন