রাজ্যে চাকরির বেহাল দশা নিয়ে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বেফাঁস মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে শোভনদেববাবুর বক্তব্যের অন্য ব্যাখ্যা দিলেন আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার শোভনদেববাবু যখন রাজ্যের চাকরির আসল ছবিটা তুলে ধরছেন তখন পাশেই বসেছিলেন ফিরহাদ। তাঁর দাবি, রাজ্যে চাকরি নেই একথা কখনও বলেননি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘আমি পাশে ছিলাম। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন জেনারেল এডুকেশনে চাকরিবাকরি…. যেমন ধরুন আপনি যদি এমএ পড়েন তাহলে তার সাথে বিএড – ডিএলএড পড়তে হবে। তাহলে চাকরির সুবিধা আছে। চাকরি নেই একথা কখনও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেননি।’
শনিবার একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই যে ১২ লক্ষ ছেলে ময়ে (মাধ্যমিক) পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে ৮৬ শতাংশ পাশ করেছে। এরা কিন্তু শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়ে গেল। এখন গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার ডিগ্রি করে আর চাকরি পাওয়া যায় না। রোজ আমি যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলি তখন ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৫ জন আমাকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করেন। কোনও কোনও সংখ্যাটা এর থেকে বেশিও হয়। কী পাশ করলে মানুষ চাকরি পাবেন সেটা জানা দরকার।’
ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, চাকরির অভাব না থাকলে ১০ জনের মধ্যে অন্তত ৫ জন মন্ত্রীর কাছে চাকরি চাইছেন কেন?