ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় রাজ্য–রাজনীতিতে বড় চমক দেখা গেল। আর সেই চমকের একদিকে রয়েছেন মুকুল রায়। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে গেলেন মুকুল রায়। যেখানে এবার যে বড় কাটছাঁট করা হয়েছে। ২০১৯ সালে যে লম্বা তালিকা দেখা গিয়েছিল, তার প্রায় ৯০ শতাংশই এবার বাদ পড়েছে। আর সেখানে মুকুলের এই উপস্থিতি বড় খেলার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ঠিক কী ঘটেছে কালীঘাটে? এবার ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় চমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বহুদিন পর ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় দিদির কাছে ফোঁটা নিতে গেলেন মুকুল রায়। সদ্য মুকুলের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা যাতায়াত করছেন। তাতে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বিজয়া সারতে মমতার বাড়িতে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়কে। একুশের নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন মুকুল রায়। তারপর এখন এই দৃশ্য নতুন সমীকরণের জন্ম দিচ্ছে।
আগে কী দেখা যেত? অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বড় আকারে ভাইফোঁটা হতো। কারণ ভাই– বোন, তাঁদের ছেলেমেয়ে, নাতি–নাতনি মিলিয়ে তাঁর বড় পরিবার। তাই ভাইফোঁটা জমজমাট হয়ে উঠত। সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত থাকায় সেটার বহর আরও বেড়েছিল। তাঁর বাড়িতে ভাইফোঁটায় নিমন্ত্রিত থাকেন দলের অনেক ভাই। ২০১৯ সালে দেখা গিয়েছিল ওই তালিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। এমনকী সেবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও ভাইফোঁটায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গত দু’বছর কোভিড আবহে আর বাড়িতে এই ভাইফোঁটা অনুষ্ঠান হয়নি।
এবার ঠিক কী ঘটল? আগের দৃশ্য পাল্টে গিয়ে নতুন দৃশ্য দেখা গেল। যদিও এবার তালিকায় কাটছাঁট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ভাইফোঁটায় দিদির বাড়িতে ভিড় নেই। এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। তিনিও প্রত্যেকবার একডালিয়ার বাড়িতে বোনেদের থেকে ফোঁটা নিয়ে দিদির বাড়ি চলে আসতেন। এবার আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন শুধু ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সি, ডেরেক ও ব্রায়েন এবং মুকুল রায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিকও আমন্ত্রিত ছিলেন। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মুকুলের কাঁধেই এই গুরুদায়িত্ব পড়তে চলেছে। আর এই যাতায়াত সেই অর্থই বহন করেছে বলে সূত্রের খবর।