একুশের নির্বাচনে কংগ্রেস–আইএসএফ নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করেছিল সিপিআইএম। কিন্তু ভরাডুবির মুখ দেখতে হয়েছিল লালপার্টিকে। বাম শিবিরের ঝুলিতে জুটেছিল শূন্য। সুতরাং দলের অন্দরেই প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, এই ফলাফল শূন্য এ বুকে নাকি বুক ভরা শূন্যতা? কারণ জাতও গিয়েছে পেটও ভরেনি বলে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আর মোর্চা বজায় রাখা সমীচীন হবে কিনা তা নিয়ে জেলার নেতারা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আসা পর্যালোচনা রিপোর্টে সেই তথ্যই রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য কমিটিতে সুর সপ্তমে চড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য কমিটির বৈঠক হবে ২৯ মে। তারপর আবার একটা হবে জুন মাসে। জানা গিয়েছে, জেলাগুলির রিপোর্ট নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক বসে। সেখানেই এই বিষয়টি উঠে আসে। সূত্রের খবর, সদ্য গজিয়ে ওঠা আইএসএফের দলের জাপটাজাপটি জেলার নেতারা ভালভাবে নেয়নি। আবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলেও তাদের একটা বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করেছিল। তাই এই ধরনের মোর্চা গঠন করে আখেরে মুখ পুড়েছে মনে করছে জেলা নেতৃত্ব।
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আবার কি একলা চলার পথ ধরবে সিপিআইএম? এখানে একলা বলতে শরিকদের সঙ্গে থাকলেও কংগ্রেস–আইএসএফ ত্যাগ করা। সেটা বোঝা যাবে সামনের ৬টি বিধানসভা উপনির্বাচনে। এই ৬টি কেন্দ্র হল—সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর এবং ভবানীপুর। এই উপনির্বাচনগুলিতে মোর্চা সঙ্গে থাকবে নাকি বামফ্রন্টগতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হবে তা নির্ভর করছে রাজ্য কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তে।