বিরোধী নেতৃত্বের এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নালিশ করলেন। তাঁদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী ধারাবাহিকভাবে ঘৃণা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিভাজনের রাজনীতি করছেন। এভাবে তিনি আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী ঘৃণাসূচক ভাষণ দিচ্ছেন। বিরোধীরা যে প্রচার করছেন সেটাকে পুরো বিকৃতভাবে হাজির করছেন। একাধিক গ্রুপের মধ্যে তিনি বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন। ধর্মের নাম করে তিনি খোলাখুলিভাবে ভোট চাইছেন। তিনি যে সব কাজ করছেন তা ভারতীয় দণ্ডবিধিতে অপরাধযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর একের পর এক অভিযোগের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তাদের দাবি, গত ৬ এপ্রিল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল কমিশনে যে মোদী বলছেন কংগ্রেসের ইস্তেহারের সঙ্গে মুসলিম লিগের মিল রয়েছে।
২১শে এপ্রিল বলা হয়েছিল, যে মোদী বলছেন যে জাতীয় কংগ্রেস মঙ্গলসূত্র চুরি করতে চাইছে মহিলাদের কাছ থেকে, এনিয়ে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
এরকমই ২৩ শে এপ্রিল, ২৯শে এপ্রিল, ৩০ শে এপ্রিল, ০২রা মে, ৭ মে, ৮ই মে মোদীর একের পর এক আপত্তিকর বক্তব্য রেখে যাচ্ছেন। এমনকী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিও তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ওসব পাত্তা দিচ্ছেন না মোদী।
এভাবে জাতীয় কংগ্রেস মোদীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন কমিশনের কাছে। তবে কমিশন শেষ পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার।
তবে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে কংগ্রেসের তরফে মোদীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি বলে দাবি বিরোধীদের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের লোকসভা ভোট দুই জোটের কাছেই মর্যাদার লড়াই। ইন্ডিয়া জোট বিজেপিকে আটকাতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বহুক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে একেবারে ছন্নছাড়া অবস্থা ইন্ডিয়া জোটের।
অন্যদিকে এবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একেবারে দাপিয়ে প্রচার করছেন। ইন্ডিয়া জোটকে নানাভাবে বিদ্ধ করছেন তিনি। মোদীকে ঘিরে ভিড়ও বাড়ছে ক্রমশ। তবে শেষ পর্যন্ত ইভিএমে কে কতটা লাভবান হতে পারবেন তার জন্য় আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হবে। এর জন্য় আরও কিছুটা সময় লাগবে।