হরিদেবপুরে একটি লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার হল একটি রক্তাক্ত দেহ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি কারখানার মালিক তপন দে। তপনকে খুন করা হয়েছে নাকি উনি আত্মহত্যা করেছেন, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১১টা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তপনের স্ত্রী খোঁজখবর শুরু করেন। এরপর স্বামীর খোঁজে কারখানাতেও চলে আসেন তিনি। সেখানে কারখানার ভিতরে তপনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর স্ত্রী। এরপরে পরিবারের তরফে হরিদেবপুর থানায় জানানো হয়। এরপর সাড়ে ১২টা নাগাদ লালবাজারের হোমিসাইড শাখার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তপনের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘর থেকে একটি ঘুড়িও পাওয়া গিয়েছে। যে ঘরে তপন পড়েছিলেন, তার পাশের বারান্দায় রক্তের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। পাশের বারান্দায় কীভাবে রক্ত এল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তপনের ঘর থেকে হাতে লেখা একটি নোট পাওয়া গিয়েছে। কাগজে হাতের লেখাটা তপনের কিনা, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।
তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, তপন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, তপন জিএসটি খাতে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এদিন ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তপনের মৃত্যুর আসল কারণ বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ।