সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে কলকাতায় আট মাসের গর্ভবতী এর মহিলাকে পেটে লাথি মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। গর্ভবতী মহিলার পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করা হয়েছে এবং তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে নারকেলডাঙা মেন রোডে। এদিকে আহত অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, গোলমালের নেপথ্যে মূল কারণ প্রোমোটিং। (আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে চটুল নাচের আয়োজন, উদ্দাম নাচ তৃণমূল নেতার, ওড়ালেন টাকা)
আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ, হামলাকারী দুষ্কৃতীরা এলাকার বিধায়ক পরেশ পাল এবং এলাকার কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। যদিও ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পরেশ পাল এবং পাপিয়া ঘোষ। শিবশঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এলাকায় তাঁদের একটি শরিকি জমি ছিল। সেখানে এক প্রোমোটার কাজ শুরু করে শেষ করেননি। সেখানেই অন্য একদল এসে কাজ করতে গেলে বাধা দেন শিবশঙ্করবাবু। কারণ কোনও চুক্তি ছাড়াই কাজ করতে গিয়েছিল তারা। এই নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: দলের ‘কঠিন সময়ে’ আক্ষেপ সৌগতর, ‘কিছু নেতার জন্য বদনাম দল’, বিস্ফোরক বর্ষীয়ান সাংসদ
এই ঘটনার জেরে শিবশঙ্করবাবুর ছেলেকে ক্ষুর দিয়ে আক্রমণ করা হয়। শিবশঙ্করবাবুর দাবি, নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ করতে গেলে উল্টে তাঁকেই গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিবশঙ্করবাবুর অসুস্থ পুত্রবধূকে। শিবশঙ্করবাবু জানান, বৌমার পেটে তীব্র ব্যথা। ব্যথা যদি না কমে সিজার করতে হবে। এখনও বোঝা যাচ্ছে না বাচ্চাটা ঠিক আছে কি নেই। শিবশঙ্করবাবুর অভিযোগ, তিনি বিজেপি সমর্থক বলে তাঁকে হেনস্থা করে শাসক দল। আগেও তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এদিকে পরেশ পাল বলেন, ‘শিবশঙ্কর নামের কাউকে চিনি না। ঘটনাটা সম্পর্কে কিছুই জানি না।’