সেকটর ফাইভে যাঁদের সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের এবার নতুন হারে কর দিতে হবে। নবদিগন্ত শিল্পতালুক কর্তৃপক্ষ এবার 'ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট' পদ্ধতিতে সম্পত্তিকর নেওয়া শুরু করবে। এই পদ্ধতিতে করদাতারা নিজেরাই তাঁদের সম্পত্তিকর নির্ধারণ করতে পারেন। নতুন এই পদ্ধতিতে কর আদায়ের ফলে আয় বাড়বে নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষের।
এতদিন পর্যন্ত 'অ্যানুয়াল রেন্টাল ভ্যালু' (এআরভি) পদ্ধতিতে সম্পত্তিকর নির্ধারণ করা হতো। এই পদ্ধতিতে কোনও সম্পতিতে থেকে বার্ষিক যে ভাড়া পাওয়া যায় তা থেকে ১০ শতাংশ মেরামতি খাতে ছাড় দিয়ে সম্পত্তির বার্ষিক মূল্য (এভি) নির্ধারণ করা হতো। নবদিগন্তের কর্তৃপক্ষের মতে এই পদ্ধতিতে কর নির্ধারণ করা বেশ জটিল ছিল। ফলে নানা সময় বেনিয়মেরও অভিযোগ উঠত। সে কারণে 'ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট' পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে।
(পড়তে পারেন। হাওড়া স্টেশনের কাছেই হবে অত্যাধুনিক বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, গঙ্গাপাড়েই অফিস, শপিংমল)
(পড়তে পারেন। উডবার্নে এবার আম আদমির অস্ত্রোপচার, SSKM-এ চালু হল ক্যাশলেস বিমা)
ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল ভ্যালুয়েশন বোর্ড এই নয়া হারে সম্পত্তিকরের কাঠামোর খসড়া তৈরি করে নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়েছে। প্রশ্ন হল এই পদ্ধতিতে কী সম্পত্তি কর বাড়তে পারে? নবদিগন্তের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুরকমই হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে সম্পত্তিকর বাড়ার বদলে কর কমতেও পারে।
বর্তমানে পুরনো পদ্ধতিতে সেক্টর ফাইভ এলাকায় সম্পত্তিকর দেয় এমন বাড়ির সংখ্যা ১২১০। সম্পত্তিকর বাবদ আদায় হয় বছরে ৭০ কোটি টাকা। সম্পত্তিকরে পুরনো ব্যবস্থা থেকে নতুন ব্যবস্থা যেতে গেলে নতুন করে একটি ফর্মপূরণ করতে হবে করদাতাদের। এক আধিকারিকের মতে, 'ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট' পদ্ধতিতে সম্পত্তিকর দাতা এবং কর্তৃপক্ষ উভয়েরই লাভ হবে।