নিউ টাউনের গেস্ট হাউজে তরুণী খুনে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। মঙ্গলবার অমিত ঘোষ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গত ২২ ডিসেম্বর নিউ টাউনের গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চুমকি ঘোষের দেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে অমিতের আত্মীয়দের জেরার পাশাপাশি অভিযুক্তের মোবাইল ফোনে নজরদারি শুরু করেন গোয়েন্দারা। তাতেই মিলেছে সাফল্য। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে মাসির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অমিতকে। গোয়েন্দাদের অনুমান বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরেই এই খুন।
গত ২২ ডিসেম্বর রাতে নিউ টাউনের একটি গেস্ট হাউজের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চুমকি ঘোষের নগ্ন দেহ। দেহের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া ছিল। নাকে ছিল রক্তের দাগ। দেহে ছিল আঘাতের চিহ্ন। পাশে পড়ে ছিল মদের ভাঙা বোতল। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি চিরকুট। তাতে লেখা, ‘তোকে আমি মারতে চাইনি। কিন্তু মারতে বাধ্য হলাম।’ গোয়েন্দাদের দাবি, ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল আততায়ী ও মৃতের।
দেহ উদ্ধারের পর গেস্ট হাউজের ম্যানেজার জানান, ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় ঘর ছাড়ার কথা ছিল যুগলের। কিন্তু ৮টা বাজলেও ঘর থেকে বেরোননি তাঁরা। ঘরের দরজার সামনে গিয়ে গেস্ট হাউজের কর্মচারীরা দেখতে পান তারস্বরে চলছে টিভি। ডাকাডাকিতে কেউ সাড়া না দেওয়ায় নকল চাবি দিয়ে দরজা খুলে ঢুকে তাঁরা চুমকিদেবীর দেহ দেখতে পান। গেস্ট হাউজের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, ওই দিন বিকেল ৪টে নাগাদ গেস্ট হাউজ ছাড়েন অমিত।