শিয়ালদা বিভাগের বিভিন্ন স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন? কিন্তু স্টেশনের শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। মূল সমস্যাটা হল খুচরোর। টয়লেটে যাওয়ার পরে যখন খুচরোর কথা বলা হয় তখনই আসল সমস্যা। পকেট ব্যাগ হাতড়েও খুচরো আর পাওয়া যায় না। আবার খুচরো না দিলেও সমস্যার। কিন্তু এবার সেই সমস্যা মিটতে চলেছে। স্টেশনে যে সমস্ত পে অ্য়ান্ড ইউজ টয়লেট থাকবে তার বাইরে কিউআর কোড থাকবে। মানে যাত্রীরা নির্দিষ্ট শৌচালয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের আর খুচরো দিতে হবে না। কিউ আর কোড দিয়েই সেখানে খুচরো পয়সা দেওয়া যাবে। নির্দিষ্ট কোড স্ক্যান করে আপনি প্রয়োজনীয় খুচরোটা মিটিয়ে দিন।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বার বারই বলা হয় নগদবিহীন লেনদেনের কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত স্টেশনের শৌচাগারে এই কিইউআর কোডের ব্যবস্থা বিশেষ ছিল না। তবে এবার সমস্যা মিটতে পারে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শৌচালয় প্রবেশ করার পরে কিইউআর কোড দেখা যাবে। সেই কোড স্ক্যান করলেই যাত্রীরা টাকা দিতে পারবেন। আর খুচরো না থাকলে সমস্য়ায় পড়তে হবে না।
এদিকে মাঝেমধ্য়েই অভিযোগ ওঠে যে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় এই সমস্ত শৌচাগারে। মানে যার কাছ থেকে যেমন খুশি। তবে এবার এই কোড স্ক্যান করে খুচরো দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে সমস্যা অনেকটাই কমবে। এই কোড স্ক্যান করেই খুচরো পয়সা দেওয়া যাবে।
এদিকে বর্তমানে রেলের বিভিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে এই কোড চালু রয়েছে। যাত্রীদের একাংশ এই কোড স্ক্যান করে টিকিটও কাটতে পারেন। একদিকে যেমন এখনও দেখা যায় যে রেলের টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন। আবার এটাও দেখা যায় যে অনেক যাত্রী এই কোড স্ক্যান করে টিকিট কেটে নিচ্ছেন। তাদের আর লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয় না। তবে এবার শৌচাগারেও থাকবে কোড। সেই কোড স্ক্যান করে খুচরো দেওয়া যাবে শৌচাগার ব্যবহারের জন্য। এককথায় বড় উদ্যোগ।
কারণ ট্রেন থেকে নেমে অনেকেই ছুটে যান শৌচাগারের দিকে। কিন্তু শৌচাগার ব্যবহার করার পরে পকেট থেকে ১০০ টাকা বের করার পরে তারা বলেন, দাদা খুচরো নেই। এনিয়ে বচসার নজিরও রয়েছে। তবে এবার আর সেসব হবে না। কোড স্ক্যান করে খুচরো মিটিয়ে দিতে পারবেন।