২০২৪ সালের মহারণ। লোকসভা ভোটের আগে জোটবদ্ধ হচ্ছেন বিরোধীরা। তার আগে আগামী শুক্রবার বিহারের রাজধানী পটনায় নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে যোগদান করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর সঙ্গেই সেই বৈঠকে নেত্রীর সঙ্গী হবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বিরোধী জোটের সেই মিটিংয়ের দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। কতগুলি বিরোধী দল সেই মিটিংয়ে যোগ দেন তা নিয়েও চলছে জোর জল্পনা। এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করতে এর আগে থেকে নানা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসমে দলতে প্রতিষ্ঠা করতে বার বার ছুটে যেতেন অভিষেক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরাট সফলতা পেয়েছেন এমনটা নয়। তবে এবার একেবারে বিরোধী জোটের মিটিংয়ে সেই অভিষেককেই সঙ্গে নিয়ে যাবেন মমতা। সূত্রের খবর।
বিহারের পটনাতে ইতিমধ্য়েই সেই মিটিংকে সফল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন নীতীশ অনুগামীরা। তবে সেই মিটিংয়ের অন্যতম মুখ যে মমতা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে ইঙ্গিত মিলছে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী জোট করার ক্ষেত্রে যে অ্যালার্জি তৃণমূলের ছিল সেটা থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে পেরেছে ঘাসফুল শিবির। আর সেই মিটিংয়ে অন্যতম মুখ যদি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তবে বাংলা থেকে অপর মুখ অবশ্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, একদিকে রাজ্য রাজনীতিতে ও অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতিতে অভিষেককে প্রতিষ্ঠা করতে, পরিচিতি তৈরি করাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নবজোয়ারের মতো বড় কর্মসূচিও হয়েছে অভিষেকের নামে। আবার সেখানে উপস্থিত থেকেছেন মমতা। এবার পটনায় বিরোধী জোটের বৈঠক। সেখানে মমতা যেমন থাকবেন তেমনি তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসাবে থাকবেন মন্ত্রিসভার আর কেউ নন, থাকবেন অভিষেক। তবে এনিয়ে এবার পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ বিরোধীরা তোলেন কি না সেটাই দেখার।
এদিকে গত ২৪ এপ্রিল নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন নীতীশ কুমার। তখন সঙ্গে লালু পুত্র তেজস্বী যাদবও ছিলেন। সেই আমন্ত্রণ ফেলতে পারেননি মমতা। তাছাড়া গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী যে কয়েকটি মুখ রয়েছে তার মধ্য়ে একেবারে প্রথমের সারিতে মমতা। এটা স্বীকার করেন অনেকেই।