আজ তিনি জেলের বাইরে থাকলে বেহালা (পশ্চিমে) বড় অনুষ্ঠান করতেন। কিন্তু এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠিয়েছে। ফলে এখন জেলে বসেই স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হচ্ছে। হ্যাঁ, তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ, সোমবার দেশের স্বাধীনতা দিবস। সর্বত্র তা পালিত হচ্ছে। সেখানে জেলে বসে তাঁর খোঁজ কেউ রাখেন কিনা সে কথাই জিজ্ঞাসা করলেন এক কারারক্ষীকে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী জানতে চেয়েছেন পার্থ? এদিন সকালে চা–টোস্ট তাঁকে দিতে গিয়েছিলেন এক কারারক্ষী। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘দলের সতীর্থরা কেমন আছেন? আমার বিষয়ে কেউ খোঁজ নিচ্ছেন? আজ তো স্বাধীনতা দিবস। আপনারা ভাল আছেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে কারারক্ষী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানান, এমন কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। আর তিনি ভাল আছেন। এই শুনে আবার মাথা নীচু করে চায়ের কাপে চুমুক দিলেন বলে জেল সূত্রে খবর।
তারপর ঠিক কী ঘটল সেখানে? এরপর তিনি আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘সতীর্থরা কেমন আছে, আমার কেউ খোঁজ নিয়েছে?’ তাঁর এক আইনজীবী বলছেন, ‘আমার কাছে যেমন পার্থদা দলের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন, তেমনই দলীয় কর্মীরাও আমাকে ফোন করে ওঁর বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।’ রবিবার বাদল দিনে বেহালা পশ্চিমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা আসন। সে খবর পেয়েছেন পার্থ। তারপরই এমন প্রশ্ন বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন পার্থের দশ দিন কেটে গিয়েছে জেলে। এখন আর কোনও আবদার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি করেননি। সেলের ভিতরে প্রচুর বই পড়ছেন। তার মাঝেই একদিকে যেমন তিনি দলের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন, তেমনই আইনি পরামর্শের জন্য আইনজীবীরা তাঁর সেলে দেখা করতে গেলেই জানতে চাইছেন, মেয়ে এবং ভাইয়ের পরিবার কেমন আছে? স্ত্রী প্রয়াত হওয়ার পর নাকতলার বাড়িতে একাই থাকতেন পার্থ। মেয়ে–জামাই থাকেন আমেরিকায়। তাই তাঁর নিজের বলতে শুধু ভাইয়ের পরিবার। খোঁজ নিচ্ছেন তাঁদেরও।