SLST নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার জড়াল তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে জানান, তাঁকে বিষয়টি দেখতে লিখিত আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি। এদিন নানা ভাবে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন শান্তিপ্রসাদবাবু। যাতে বিরক্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন।
কার্যত গ্রেফতারি এড়াতে শুক্রবার SLST নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা দেন SSC-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদবাবু। বুধবার পিঠে ব্যাথার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার আদালতে হাজির না হলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারত।
এদিন আদালতে শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে প্রায় ২ ঘণ্টা কার্যত জেরা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানতে চান, কার পরামর্শে প্যানেলে পিছনের দিকে নাম থাকা ব্যক্তিদের নিয়োগের সুপারিশ করেছেন তিনি? জবাবে তিনি জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওএসডি বিষয়টি দেখার জন্য লিখিত অনুরোধ করেছিলেন। এর পর SSC- আধিকারিক সমরজিৎ আচার্যের নির্দেশে অনেকগুলি সুপারিশপত্রে সই করেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছেন বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ৬ জনও।
এদিন লাগাতার পরস্পরবিরোধী কথা বলে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন শান্তিপ্রসাদবাবু। একবার তিনি বলেন, সুপারিশপত্র তিনিই পাঠিয়েছেন। আবার বলেন, নতুন কোনও সুপারিশ তিনি করতে বলেননি। এর জেরে বিরক্ত বিচারপতি তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন।
শান্তিপ্রসাদকে জেরা করেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। বিকাশবাবুর প্রশ্নের উত্তরে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে ২০০-র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছিল SSC-র কাছে। সেগুলি পরীক্ষা নিয়ামক কমিটিকে পাঠানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ এদিন শান্তিপ্রসাদবাবুর করা দাবিগুলি খতিয়ে দেখছে আদালত। আগামী ২৫ মার্চ ফের মামলাটির শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।