পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও জামিন পাননি। ইদানিং আর জামিনের জন্য আবেদন করেন না। শুধু প্রমাণ করতে চান তিনি নির্দোষ। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তবে এটা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত পার্থবাবুর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্তই থাকবে। ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁকে নানা কটূক্তি শুনতে হয়েছে। ‘মোটকা দা’ থেকে শুরু করে ‘চাকরি চাই’ খোঁচা শুনতে হয়েছে। এমনকী মগ ছুঁড়ে পার্থবাবুকে মেরে ছিলেন এক জঙ্গি। তবে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার আবেদন করলেন।
এদিকে এতদিন পার্থবাবু যা করেননি সেটাই করলেন। ভার্চুয়াল শুনানিতে উপস্থিত হয়ে বিচারকের কাছে আবেদন করেন। এবার থেকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমন আবেদনই করেছেন তিনি। তবে কেন এমন করলেন? সেটা খোলসা করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয় তাঁকে। তবে সেটা হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। তখনই এমন আবেদন করেন। এদিন শুনানি শেষে পার্থবাবুকে আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুতরাং শীত কাটবে জেলেই।
অন্যদিকে আজ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির সময় আবহাওয়া প্রতিকূল ছিল। তাই জেল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে পেশ করার আবেদন করে জেল কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদন মঞ্জুর হতেই লক আপ থেকে হাজিরা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তখনই শুনানি চলাকালীন পার্থবাবু বিচারককে বলেন, ‘আমি আদালতে এসেছি। এসে চুপচাপ বসেই আছি।’ তখন বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কী আসতে চাইছেন? আপনি যদি ফিজিক্যাল হাজিরা দিতে চান তাহলে আমি জেলের আবেদন খারিজ করতে পারি। না হলে আমি জেলের আবেদন মেনে নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ইডি হানা দিল এবার মৃত শিক্ষকের ফ্ল্যাটে, নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য খুঁজতে বরাহনগর অভিযান
বিচারকের এই কথা শুনে আবার পার্থবাবু কিছু বলতে চান। তখন তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়। তখনই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিচারককে বলেন, ‘আমি সশরীরে আদালতে আসতে চাই। হাজিরা দিতে চাই।’ পার্থের কথা শুনে বিচারক আবারও প্রশ্ন করেন, আপনার শারীরিক পরিস্থিতি ঠিক আছে? আদালতে আসতে পারবেন? জবাবে আসতে পারবেন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরই বিচারক জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে নিয়ে আসবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।