টিকিট চাওয়া নিয়ে বচসা তার জেগে স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগর স্টেশনে। এই ঘটনায় রেলের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া অনুসন্ধান কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে অনুসন্ধান কেন্দ্রে চেয়ার, টেবিল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র।
আরও পড়ুন: ‘দাদা আপনার টিকিটটা দেখি’, হাওড়া–অমৃতসর মেলে ধরা পড়ল ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ কয়েক জন প্লাটফর্ম দিয়ে যাচ্ছিলেন। এক মহিলা টিকিট পরীক্ষক তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আটকে টিকিট দেখতে চান। কিন্তু, তারা টিকিট দেখাতে পারেননি তারা দাবি করে যে তারা স্থানীয় বাসিন্দা। ট্রেনের যাতায়াত করেনি। কিন্তু, সেই দাবি মানতে চাননি টিকিট পরীক্ষক। তাদের ধরে জরিমানা করার জন্য অনুসন্ধান কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন টিকিট পরীক্ষক। তখন তাদের সঙ্গে বচসা বাঁধে টিকিট পরীক্ষকের। ঘটনায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হতেই অন্যান্য যাত্রীরা সেখানে ছুটে আসেন। আটক করা যাত্রীদের কাছ থেকে জরিমানা করার আগেই তুলকালাম বাঁধে স্টেশন চত্বরে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রের অফিসে ভাঙচুর চালায়। তাদের আটকাতে গিয়ে মহিলা টিকিট পরীক্ষক সহ রেলের আরও ২ কর্মী আহত হন। যার মধ্যে কৃষ্ণ সিংহ নামে এক কর্মীর আঘাত গুরুতর। তাকে ভর্তি করা হয়েছে শিয়ালদহের বিআরসিং হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, অনুসন্ধান কেন্দ্রে থাকা মাইক, টেলিফোন থেকে শুরু করে চেয়ার, টেবিলে এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত যাত্রীরা। পরে যাত্রীরা সেখান থেকে চলে যায়। উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মৈত্র জানিয়েছেন, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ। কিন্তু, ততক্ষণে অভিযুক্ত যাত্রীরা সেখান থেকে চলে যায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে করতে পারেন রেল পুলিশ। এই ঘটনায় রেলের তরফে শিয়ালদা জিআরপিতে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিধাননগর স্টেশনে প্রায়ই টিকিট পরীক্ষকদের স্থানীয়দের বচসা বাঁধে। তাদের একাংশের অভিযোগ, তাদের বাড়ি উল্টোডাঙাতে ফলে যাতায়াতের জন্য অনেক সময় স্টেশনকে ব্যবহার করতে হয়। অথচ তাদের ধরে মোটা টাকা জরিমানা করা হয়। প্রসঙ্গত, বিনা টিকিটে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন। তা নিয়ে নজরদারি চালানোর জন্যই টিকিট পরীক্ষা করা হয় যাত্রীদের। সে ক্ষেত্রে বিনা টিকিটে নভ্রমণ করলে জরিমানা করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি টিকিট কাটার জন্য রেলের তরফে যাত্রীদের সচেতনও করা হয়। কিন্তু তাসত্ত্বেও টিকিট না কাটার প্রবণতা রয়েছে বহুযাত্রীর।