নামের গেরোয় পড়েলেন তৃণমূলের পিংলার বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। লোকজন সন্দেশখালির তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতির সঙ্গে গুলিয়ে তাঁকে।
গত রবিবার দুপুর থেকে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালির অজিত মাইতি। স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। তার পর সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির কাছে ফোন আসতে শুরু করে। যিনি বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চান, তাঁকে তাড়া করিছল কিনা। সমাজমাধ্যমেও সন্দেশখালি অজিত মাইতির বদলে ছবি দেওয়া হয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন। সন্দেশখালিতে ‘ক্রমাগত মানুষ যাচ্ছেন', রাজনৈতিক পরিদর্শনের ‘ভালো-মন্দ’ নিয়ে কী জানাল হাইকোর্ট?
আরও পড়ুন। জমি ফেরাতে বলে শাহজাহানের বিপদ বাড়ালেন মমতা, বুমেরাং হল তাঁর আরও ১ সিদ্ধান্ত
শেষে জেরবার অজিত মাইতি নিজেই হাসপাতাল থেকে ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, 'কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে আমি ভর্তি। আমি সন্দেশখালির অজিত মাইতি নই। আমি অঞ্চল সভাপতি নই। আমি সন্দেশখালি চিনি না৷ আমি সন্দেশখালি যাইনি। আমি একজন বিধায়ক। আমি অনেকের পরিচিত মুখ। আমি হাসপাতালে শুয়ে আছি। সন্দেশখালির অজিত মাইতি বলে আমার ছবি দিয়ে প্রচার চলছে।'
আরও পড়ুন। শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হল না বারাসত আদালতে
আর পড়ুন। ৭ দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হবে শাহজাহান, অভিষেকের হয়ে সওয়াল করে জানালেন কুণাল
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এটা করা হয়ে থাকতে পারে। দয়া করে এই বিভ্রান্তি দূর করুন। পশ্চিম মেদিনীপুর আমার জেলা৷ সেখানের মানুষ এই ভুলের কারণে বিব্রত হচ্ছে। এর পরেও যদি কেউ প্রচার করেন তারা আমার ইমেজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নষ্ট করছেন। ভ্রান্ত প্রচার বন্ধ হলে সামাজিক ভাবে সকলের মর্যাদা বাড়বে।'
তবে শুধু অজিত মাইতি নয়, সূত্রের খবর, তাঁর ছেলে এবং পরিবারের ফোন করা হয়েছে।