নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নাবালিকাকে প্রায় এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। গর্ভপাতের জন্য নাবালিকা হাসপাতালে গেলেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আরমান আলম। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ সহ পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক কলকাতার কড়েয়ার বাসিন্দা। তার সঙ্গে ওই নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। নাবালিকার অভিযোগ, গত বছরের জানুয়ারির পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ওই যুবক তাকে একাধিবার ধর্ষণ করে। এর ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। বিষয়টি জানার পরেই ওই যুবক নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। এরপর গত মার্চ মাসে ওই যুবক কলকাতা ছেড়ে গোয়ায় পালিয়ে যায়। এদিকে, গর্ভপাতের জন্য ওই নাবালিকা কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। এরপরেই চিকিৎসকরা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশ নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে যুবকের নাম পরিচয় জানতে পারে। এরপরে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারে তৎপর হয় কলকাতা পুলিশ। গোয়া থেকে তার কলকাতায় আসার কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরেই তাকে বিমানবন্দর থেকে পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
মেয়েটি জানায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে কড়েয়ার বাসিন্দা আরমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। নাবালিকা অভিযোগ করেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে কাছের বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্ত যুবক বেশ কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করে। একজন কর্মকর্তা জানান, দুজনের শেষ দেখা হয়েছিল ৩ জানুয়ারি। অভিযুক্ত যুবক তাকে সকাল ৯টার দিকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। যেখানেও ওই নাবালিকাকে যুবক ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন ht app থেকেও। এবার ht app বাংলায়। ht app ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup