রাইসিনা হিলসের দৌড়ে জিতবে কে? এই প্রশ্নই এখন চর্চায় উঠে এসেছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কারণ এবার সম্মিলিত বিরোধীরা যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী ঠিক করেছে। আর মোদী–শাহ ব্রিগেড আদিবাসী তাস খেলে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করেছে। এই সম্মিলিত বিরোধী ভোটব্যাঙ্কের সঙ্গে বিজেপির ভোট ভাঙানো গেলে ফল অন্যরকমও হতে পারে।
ঠিক কী বলছেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী? বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘যাঁরা বিজেপিতে আছে, তাঁদের ভোটও পাব। আমি জানি, বিজেপির লোকও বিজেপির উপর ক্ষুদ্ধ। গোপন ব্যালটে ভোট হবে। তাই বিষয়টি গোপনই থাকবে।’ যদিও বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথা মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় এনডিএ প্রার্থীকে এগিয়ে রেখেছেন এবং টুইট করে যশবন্ত সিনহাকে খোঁচা দিয়েছেন। তারপরও আত্মবিশ্বাসী যশবন্ত সিনহা।
কোন ইস্যুতে সমর্থন চাইবেন? এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘ভারতের সংবিধান রক্ষা করাই আমার সবচেয়ে বড় কাজ। যদি রাষ্ট্রপতি ভবনে যাই, তাহলে এই কাজই করব। এই সরকার সংবিধান এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে মানছে না। রাষ্ট্রপতি ভবনে যদি রবার স্ট্যাম্প থাকে, তাহলে এই সরকার তার সুযোগ নেবে এবং রাষ্ট্রপতিকে তাঁর কর্তব্য পালন করতে দেবে না।’
উল্লেখ্য, অনেকেই এই নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে এগিয়ে রেখেছেন। কারণ বিজেডি জানিয়ে দিয়েছে তাঁরা এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করবেন। নীতীশ কুমারও সেই পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে বিরোধী ভোটের সঙ্গে বিজেপির ভোট ভাঙাতে না পারলে পিছিয়ে পড়বেন যশবন্ত সিনহা। আর এই বিজেপির ভোট তিনি পাবেন বলে আশাবাদী।