এই নিয়ে ২১ বার বাড়ল পেট্রোল–ডিজেলের দাম। মে মাসের শেষের দিক থেকে জুন মাসের প্রথমদিক পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম। এবার কলকাতায় পেট্রোল সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। শহরে ১ লিটার পেট্রোল কিনতে খরচ করতে হবে ৯৫ টাকা ৩৪ পয়সা। লিটার প্রতি ডিজেল ৮৯ টাকা ১২ পয়সা। মুম্বইয়ে লিটার প্রতি পেট্রোল ১০১ টাকা ছাড়িয়েছে। পিছিয়ে নেই চেন্নাই–দিল্লিও। সেখানেও ১০০ ছুঁইছুঁই পেট্রোল। সুতরাং চারটি মেট্রো শহরেই জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া।
এই লাগাতার দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। কারণ জ্বালানির দাম বাড়ায় শাক–সবজি, মাছ, ডিম, মাংসের দাম বেড়ে গিয়েছে। এখন গণপরিবহণ ব্যবস্থা সব জায়গায় সচল নেই। তাই নানাভাবে এইসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনতে হচ্ছে। আর তাতে ‘ক্যারিং কস্ট’ বেশি পড়ে যাচ্ছে। যার ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেকে কাজ হারিয়েছেন। তার মধ্যে এভাবে দাম বাড়লে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
এখন লাগাতার পেট্রোল–ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে চিন্তায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। গত মাসে ১৬ বার পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। মুম্বইয়ে পেট্রোলের দাম ১০০ ছুঁয়েছে। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের আগে থেকেই দেশের জ্বালানি কোম্পানিগুলি জ্বালানির দাম বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। তাদের দাবি, নানা জায়গায় পরিবহণের কর বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। ইতিমধ্যেই আলু–পিঁয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে আগুন দাম সবজির। ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে মাছ–মাংস–ডিম কিনতে গেলে। এই পরিস্থিতি নাভিশ্বাস উঠেছে।