বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (বিজিবিএস) আসা বিনিয়োগ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। সেই শ্বেতপত্র প্রকাশের নির্দেশ দিয়ে বিরোধীদের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজিবিএসের পর বৃহস্পতিবার নবান্নে একটি 'ফলোআপ' বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে তিনি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেন শ্বেতপত্র প্রকাশের। সেই শ্বেতপত্রে এখনও পর্যন্ত হওয়া সাতটি বিজিএসএ প্রাপ্ত যাবতীয় লগ্নি অঙ্ক এবং কর্মসংস্থানের পরিমাণ তুলে ধরা হবে।
একদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সভা থেকেও বিজিবিএসএ সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিজিবিএস-এ আমরা অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছি। বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এসেছে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকার। আমাদের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও চারগুণ বেড়েছে। কেন্দ্র টাকা না দেওয়া সত্ত্বেও মোট বাজেট বরাদ্দ ৩.৮ শতাংশ বেড়েছে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসংস্থান প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, 'এই বিনিয়োগগুলি থেকে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। শুধু এমএসএমই-তে (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) ১ কোটি ৩৬ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। মুখ্যসচিবকে শ্বেতপত্র তৈরি করে সকলের হাতে দিলতে বলেছি।'
এ দিন 'ফলো আপ' বৈঠকে বিজিবিএস-এ আসা সমস্ত লগ্নির বিনিয়োগ নিয়ে পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন, যে সব ক্ষেত্রে বেশি লগ্নি হবে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে মুখ্যসচিব নিজে যেন প্রতি ১৫ দিন অন্তর বৈঠক করেন। তিনি চান আগামী এক বছরের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা রাজ্যে যাতে তাঁদের কাজ শুরু করতে পারেন। তাই আগামী ৩ মাসের মধ্যে সব ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে।
সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন মিডিয়া খবর ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়েও সচিবদের সতর্ক করেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবহণমন্ত্রী ও পরিবহণ সচিবের ভূমিকা নিয়ে।