বাকিবুর রহমান। আপাত নিরীহ চেহারার এক ব্য়ক্তি। তাঁর নাকি দুবাইতে ফ্ল্যাট। বিদেশে যাওয়া তো একেবারে জলভাত ছিল তার। আর এবার রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে হতবাক তদন্তকারী আধিকারিকরা। মনে করা হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটিরও বেশি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আর এই দুর্নীতির কিংপিন বাকিবুর। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আর রেশন কেলেঙ্কারিতে ধৃত মন্ত্রীর সঙ্গে বাকিবুরের সম্পর্ক ঠিক কতটা ঘনিষ্ঠ সেটাও মেপে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির কাছে এক মহিলার নাম উঠে আসে। সেই রহস্যময়ী আবার বিদেশে থাকেন। কর্মসূত্রেই নাকি তিনি বিদেশে থাকেন। মনে করা হচ্ছে ওই মহিলার মাধ্যমেই বিদেশে বিনিয়োগ করা হত রেশন দুর্নীতির কালো টাকা। তবে অনেকেরই প্রশ্ন এত টাকা নিয়ে কী করতেন বাকিবুর?
তবে সূত্র বলছে রেশন দুর্নীতির টাকা একা বাকিবুরের পকেটে যেত এমনটা নয়। বহু হাত ঘুরত সেই টাকা। বাকিবুরের মোবাইলের বার্তা দেখে হতবাক তদন্তকারীরা। কাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল সেটা দেখা হচ্ছে। শাসকদলের প্রশয় ছাড়া বাকিবুরের একার পক্ষে এতবড় সাম্রাজ্য চালানো কতটা সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৭ সালের পর থেকে ঘনঘন দুবাই যেতেন বাকিবুর।
একদিকে কয়লা, অন্যদিকে বালি, একদিকে গরু, অন্যদিকে রেশন। গোটা দলের পরতে পরতে দুর্নীতি আর অনিয়ম। এর সঙ্গেই নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। তবে সবথেকে বড় বিষয় হল দুর্নীতির পাহাড়ে বসে থাকলেও আমজনতার মন থেকে তৃণমূল সম্পর্কে আবেগ যে পুরোপুরি চলে গিয়েছে এমনটা নয়। ভোট এলেই তৃণমূলের নামে জয়ধ্বণি তোলেন এই আমজনতাই।
তবে রেশন দুর্নীতির যেভাবে পর্দাফাঁস হচ্ছে তাতে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই দলের একাংশ জ্যোতিপ্রিয়কে ঘিরে অন্য সুর গাইতে শুরু করেছেন। দূরত্ব তৈরির জন্যও মরিয়া চেষ্টা করছেন দলের অনেকেই। ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য তৃণমূল ইতিমধ্য়েই ময়দানে নেমে পড়েছে।