সন্দেশখালিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে কার্যত 'গণঅভ্যুত্থান' ঘটেছে। শেঙ শাহজাহান এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে সরব সেখানকার সাধারণ মানুষ। এই আবহে রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় রাজনীতির চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্দেশখালি। এই আবহে সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তবে সেই ধরনার অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। এই আবহে ধরনার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি সাংসদের মামলার অনুমতি দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে হাই কোর্টে। (আরও পড়ুন: সিংহের নাম নিয়ে HC-র বকুনি, বাংলার 'সীতা-আকবর' বিতর্কে সাসপেন্ড ত্রিপুরার অফিসার)
আরও পড়ুন: রাতে হয়েছিলেন আটক, সকাল হতেই গ্রেফতার বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি
উল্লেখ্য, কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ধরনা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। এই ধরনার নেতৃত্বে থাকার কথা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে পুলিশের কাছে এই ধরনার অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি। অবশ্য সেনার তরফে ধরনার অনুমতি পেয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। উল্লেখ্য, ময়দান এলাকার মালিক সেনা। তাই সেখানে ধরনা করতে গেলে সেনার অনুমতি প্রয়োজন পড়ে। তবে বিজেপির দাবি, সেনার অনুমতি থাকলেও পুলিশি ছাড়পত্র মেলেনি। পুলিশ নাকি বিজেপিকে বলেছে, সেই এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানো মানা। তাই ধরনার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে বিজেপির পালটা যুক্তি, কয়েকদিন আগেই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা করেন। এই আবহে ধরনার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।
এদিকে আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে বারাসতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভা মঞ্চে হাজির করা হতে পারে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। শনিবার দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক হয় শীর্ষনেতাদের। সেই বৈঠকে বারাসতের সভার দিনবদলের জন্য আর্জি জানানো হয়। বলা হয়, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী সভা করুন বারাসতে। তাতে সভার গুরুত্ব আরও বাড়বে। তা ছাড়া ওই দিন মহাশিবরাত্রি। সূত্রের খবর, সে কারণে সভার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’। তার আগেই সন্দেশখালি নিয়ে শুভেন্দু-সুকান্তদের ধরনার কর্মসূচির পরিকল্পনা ছিল। তবে পুলিশ তাতে সায় দেয়নি। এর আগে সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময়ও কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন তিনি।