বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > খাস কলকাতায় রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র, পর্দা ফাঁস দেহব্যবসার, গ্রেফতার চার

খাস কলকাতায় রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র, পর্দা ফাঁস দেহব্যবসার, গ্রেফতার চার

বসত মধুচক্রের আসর। ছবি সৌজন্য–এএনআই।

বাহুডোরে হিল্লোল তুলে রমরমিয়ে চলছিল দেহব্যবসা। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মধুচক্রের মূল পাণ্ডা।

শর্ট স্কার্ট–পায়ে হাইহিল জুতো–ওপরের শর্ট টপ থেকে উঁকি মারছে ক্লিভেজ। দু’‌আঙুলের ফাঁকে জ্বলন্ত সিগারেট আর কাপড় না থাকা নাভি থেকে ছড়িয়ে পড়ছে উন্মত্ত যৌনতা। এভাবেই খাস কলকাতায় বিউটি পার্লারের আড়ালে চলছিল মধুচক্র। আর ক্লায়েট এলেই তার হাত ধরে নির্দিষ্ট ঘরে চলে যাচ্ছিল একের পর এক স্মার্ট যুবতী। বাহুডোরে হিল্লোল তুলে রমরমিয়ে চলছিল দেহব্যবসা। কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মধুচক্রের মূল পাণ্ডা।

ঠিক কোথায় ঘটেছে ঘটনা?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় বিউটি পার্লার খুলেছিলেন এক মহিলা। আর তার সঙ্গে ছিল এক ব্যক্তি। যে এই মধুচক্রের আসর বসাত। পার্লারের বিভিন্ন পরিষেবার সঙ্গে ছিল স্পা, ম্যাসাজ। বাইরে লাইন লেগে যেত দামি গাড়ির। আর পার্লারের আড়ালে রমরমিয়ে দেহব্যবসা চলছিল। ছবি দেখিয়ে ক্লায়েটের পছন্দ অনুয়ায়ী যুবতীকে তুলে দেওয়া হতো। তারপর সামনে এলে দু’‌চারটে কথা ব্যস। নির্দিষ্ট ঘরে প্রবেশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে এখানে মধুচক্র চলত বলে খবর ছিল না। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন এই নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে ধরা হয় মধুচক্রের আসর। মঙ্গলবার রাতে এখানে অভিযান চালায় পুলিশ। হাতেনাতে ফাঁস হয়ে গেল মধুচক্রের আসর। পার্লারের মালিক বাণী পাত্র, সুরেন্দ্র গোপাল–সহ মহম্মদ আরিফ নামে এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা শহরে এই ব্যবসার জাল বিছিয়েছিল।

এই চক্রের পিছনে আর কারা আছে তা খুঁজছে পুলিশ। এই যুবতীরা কোন সূত্রে এখানে আসত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেহব্যবসা চক্র চালানোর অপরাধে অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে স্পা’র আড়ালে মধুচক্রের আসরে হানা দিয়ে বাংলা সিরিয়ালের এক অভিনেতা–সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।

বন্ধ করুন