রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে আর বিপাকে বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূলি পুরপ্রধান শংকর আঢ্য। শনিবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে শংকরের বিরুদ্ধে দুবাইয়ের ব্যাঙ্কের সঙ্গে ডলার লেনদেনের প্রমাণ পেশ করে ইডি। শংকর প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকার লেনদেন করেছিলেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
শনিবার শংকর আঢ্যকে PMLA আদালতে পেশ করার পর ইডি দাবি করে, শংকর আঢ্যর দুবাইয়ে একটি সংস্থা রয়েছে। যদিও বর্তমানে সেই সংস্থার লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। সেই সংস্থার মাধ্যমে দুবাইয়ের একটি ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে লেনদেন করেছেন শংকর। ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর প্রায় ৮০ হাজার মার্কিন ডলার লেনদেন করেছেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা। যার ব্যাঙ্ক নথিও আদালতে পেশ করেছে ইডি।
শংকরের দাবি ছিল, আমদানি রফতানি ব্যবসার জন্য ওই সংস্থা খুলেছিলেন তিনি। তবে কোনও দিন সংস্থার মাধ্যমে কোনও লেনদেন হয়নি। তবে ইডির হাতে থাকা নথিতে স্পষ্ট শংকর মিথ্যা বলছেন।
শনিবার শংকরকে আদালতে পেশ করলেও জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী। ফলে অভিযুক্তকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
গত ৫ জানুয়ারি প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর বনগাঁর বাড়ি থেকে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা শংকর আঢ্য ও তাঁর পরিজনদের নামে থাকা ৯০টি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে সাদা করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ১০ বছরে মোট ২০ হাজার কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন শংকর। তার মধ্যে অন্তত ৯ হাজার কোটি রেশন দুর্নীতির।