ধেয়ে আসছে সিত্রাং। ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুসারে আগামী ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়় সিত্রাং আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশে। সুন্দরবন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে এই ঝড়। এদিকে রবিবার থেকেই বাংলার আবহাওয়ায় পরিবর্তন শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই আকাশ যেন থমথমে হয়ে রয়েছে।এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার থেকেই বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সোম ও মঙ্গলবার ঝড় বৃষ্টির দাপট শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে কলকাতায় রবিবার আংশিক মেঘলা আকাশ ছিল। তবে সোমবার থেকে আকাশ আরও মেঘলা হতে পারে। তবে মূলত সুন্দরবন উপকূল এলাকায় ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে সবথেকে বেশি। বাংলা বিভিন্ন এলাকা জুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। অনেক জায়গায় খোলা আকাশের নীচে বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঝড় বৃষ্টি হলে তা কি আদৌ সম্ভব হবে?
সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপক সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবনের নীচু জায়গাগুলিতে যাতে বড় কোনও বিপদ হতে না পারে সেকারণে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। নিরাপদ জায়গায় সরানো হচ্ছে স্থানীয়দের।গভীর সমুদ্রে যারা মাছ ধরতে বেরিয়েছেন তাদের ফিরে আসার জন্য় সবরকমভাবে জানানো হচ্ছে।
এদিকে এই সময়টাতে অনেকেই সুন্দরবনে বেড়াতে যান। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে জেরে সমস্য়ায় পড়তে পারেন পর্যটকরা। সেকারণে আগামী ২৪ তারিখ থেকে সুন্দরবন ও সংলগ্ন কোনও পর্যটনকেন্দ্রে কোনও পর্যটক আর ঢুকতে পারবেন না। মূলত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই উদ্যোগ নিচ্ছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তাল হতে পারে সুন্দরবনের একাধিক নদী। সেকারণে আপাতত ফেরি সার্ভিসকে বন্ধ রাখা হচ্ছে। নৌকাডুবি রুখতেই এই বিশেষ পদক্ষেপ।