শহরের বুকে খুন। তাও আবার ছেলের হাতে খুন হলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর থানা এলাকার ১/সি রায়পুর রোড ইস্টে। এই লোকসভা কেন্দ্রটি অভিনেত্রী–সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর। টাকা না পেয়ে আক্রোশের জেরেই বাবাকে খুন করে ফেলল ছেলে। যাদবপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রাথমিক মোটিভ পুলিশের হাতে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত ছিল অভিযুক্ত অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্ষবরণের রাতে বাড়ির নিচে মেলে বাবা শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৭০) রক্তাক্ত দেহ। আর তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। বাড়িতে আলাদা করে নিহতের স্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেখান থেকে কোনও ক্লু মেলেনি। তারপর এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, রায়পুর রোড ইস্টের বাসিন্দা অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝেমধ্যেই বাবা শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধর করত। বর্ষবরণের রাতেও তাই ঘটেছিল।
অভিযোগ, মানসিকভাবে সুস্থ নন অভিযুক্ত অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত শুভময় বন্দ্যোপাধ্যায় জর্জ কোর্টের টাইপিস্ট ছিলেন। এদিন সকালেও বাবাকে মারধর করে অর্পণ। রাতেও অশান্তি হয় বলে অভিযোগ। বৃদ্ধের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কি কারণে খুন করা হয়েছে জানতে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে বর্ষবরণের রাতে বন্ধুদের নিয়ে ফুর্তি করার পরিকল্পনা ছিল অর্ণবের। তাই বাবার কাছ থেকে টাকা দাবি করেছিল সে। না মেলায় বাবাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিল ছেলে।