আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ৪৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। এই বইমেলায় নিয়ে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তাতে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে বইমেলার আগে সল্টলেকের সমস্ত রাস্তা মেরামত করা হবে। তাছাড়া পার্কিংয়ের সমস্যা এড়াতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি বইমেলার যাবতীয় ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন: শুরু হতে চলেছে কলকাতা বইমেলা, এবারের থিম কান্ট্রি গ্রেট ব্রিটেন, কবে মেলা?
বুধবার নবান্নে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী ও পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন। এছাড়াও পুলিশ এবং পুরসভার আধিকারিকরা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বইমেলায় যেহেতু প্রচুর মানুষের ভিড় হবে সেই কথা মাথায় রেখে গাড়ি চলাচলে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য সল্টলেকের রাস্তা মেরামত করা হবে। এর পাশাপাশি পার্কিংয়ের সমস্যা এড়াতে সরকারি ভবনকে ব্যবহার করা হবে। তবে সেটা শনি এবং রবিবার ব্যবহার করা হবে। কারণ এই দুদিন যেমন সরকারি দফতরে ছুটি থাকে, তেমনি ছুটির কারণে বইমেলায় ভিড় বাড়ে। সেই কারণে এই দুদিন পার্কিংয়ের জন্য সরকারি দফতরের খোলা জায়গা পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বুধবারের বৈঠকে বইমেলার যাবতীয় বন্দোবস্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণে স্টল বসানো সহ যাবতীয় কাজ শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, এবারের বইমেলা হবে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বইমেলায় থাকছে তিনটি ছুটির দিন। যার মধ্যে দুটি হল রবিবার এবং একটি ২৬ জানুয়ারি। ফলে এবারের বইমেলায় ভিড় বেশি হবে বলেই আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এবারের বইমেলায় স্টলের সংখ্যাও ১০০ টি বাড়ানো হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন সহ ১০৫০টি স্টল বসবে এবারের বইমেলায়। তার আগে রাস্তা মেরামতের জন্য কেএমডিএ এবং বিধানগর পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া গতবারের তুলনায় এবার বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। মেলায় বায়োটয়লেটের সংখ্যাও এবার বেশি থাকছে। সবমিলিয়ে মেলায় আগত মানুষের থেকে যাতে কোনও রকমের সমস্যা না হয় তার জন্য প্রস্তুত কর্তৃপক্ষ।