১৫ নভেম্বর, রবিবার প্রয়াত হন কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর শোভাযাত্রা ও শেষকৃত্যের রোডম্যাপ তৈরি করেন সৌমিত্র–কন্যা পৌলমী বসু। আর তার ঠিক দু’দিন পর ১৭ নভেম্বর এক অনলাইন সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে গুঞ্জনের সৃষ্টি করে যে যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন পৌলমী বসু।
যদিও সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়— ‘এই সম্ভাবনার কোনও কনফার্মেশন নেই। আবার উড়িয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও নেই।’ তবে অনুমানের ওপর নির্ভর করে এমন দাবির নিন্দা জানিয়েছেন প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা পৌলমী বসু। একইসঙ্গে কোনও রাজনৈতির দলের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে পৌলমী লিখেছেন, ‘আমার বাবা দু’দিন হল চলে গিয়েছেন। একটু শোক পালন করতে দিন।’
ফেসবুকে ওই ‘বিতর্কিত’ খবরের লিঙ্ক শেয়ার করে পৌলমী প্রশ্ন করেছেন, ‘এটা কী ধরণের অসভ্যতা? কারও কি কোনও দায়িত্ববোধ নেই? আপনারা কীভাবে এই ধরণের ভুলভাল কথা লিখতে পারেন? আমার বাবা দু’দিন হল চলে গিয়েছেন। আমাকে একটু শোক পালন করার অনুমতি অন্তত দিন।’ এদিকে, শাসকদলের এক নেতা ওই অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের শেষকৃত্যের পরেই মুনমুন সেনকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এবারও তেমন কোনও ঘটনা ঘটছে বলেই মনে করা হচ্ছে।’
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পৌলমী বসুর ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে মনে করা হচ্ছে এমন কিছু অদূর ভবিষ্যতে ঘটবে না। বাবার মৃত্যুর পরপরই এমন রাজনৈতিক জল্পনায় তাঁর নাম জড়াবে তা ভেবে অত্যন্ত দুঃখিত পৌলমী। অন্যদিকে, বাম শিবিরের মতে, বরবারই বামপন্থী ঘরানার রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন সৌমিত্রবাবু। তাঁর পরিবারেও সেই রেশ রয়েছে। তাই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অসুস্থ হওয়া থেকে তাঁর শেষকৃত্যু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পৌলমীর পাশে থেকেছেন তার প্রতিদান যে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে দেখাবেন পৌলমী তা মানতে চান না অনেক রাজনীতিবিদ।